রানির জন্য বিশেষ সম্মাননা
কলকাতার এই মিষ্টি মেয়েটি একসময় বলিউডে পুরস্কারের অপর নাম হয়ে উঠেছিলেন। সেই ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ থেকে শুরু করে রানির রাজত্ব বলিউডে চলেছে বহুদিন। সে সময়ও পেরিয়েছে একসময়। তবে গত বছর আবার বড় পর্দায় ফিরেছেন রানি মুখার্জি। গ্ল্যামারাস কোনো চরিত্রে নয়, ‘মরদানি’ ছবিতে রানি ছিলেন এক রগচটা পুলিশ অফিসার। এই ছবির নারী শিশুর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের মাধ্যমে তুলে আনার জন্য বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন তিনি। এনডিটিভির খবরে জানা গেছে, ভারতের ‘ইনস্টিটিউট অব জেন্ডার স্টাডিজ’-এর বিশেষজ্ঞ ও বিচারকদের বিবেচনায় এ সম্মাননা পেয়েছেন রানি।
‘মরদানি’ ছবিটিতে নারী ও শিশু পাচারের ভয়াবহ রূপটি স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই সমস্যা রুখে দিতে এক প্রতিবাদী পুলিশ অফিসারের চরিত্র রূপায়ণ করেছেন রানি। ‘ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর দ্য বেস্ট রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য কজ অব সেফটি, সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন অব উইম্যান অ্যান্ড গার্ল চাইল্ড’ শিরোনামের এই বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন সে সুবাদেই।
সংগঠনের সভাপতি শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘বাড়িয়ে না বললে, গণমাধ্যমে নারীর উপস্থাপন সব সময়ই পণ্যায়ন-নির্ভর। সেটা প্রিন্ট মাধ্যম হোক আর ইলেকট্রনিক। সমাজে নারীর প্রকৃত অবস্থানের একটা হিসাব এখান থেকেই পাওয়া যায়, আর এভাবেই সমাজে নারীর ওপর নির্যাতন চলে নির্বিঘ্নে। এই পুরস্কার তেমনই এক মানুষকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, যার উপস্থাপনার মাধ্যমে নারী এবং মেয়ে শিশুদের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সব মিলিয়ে তাদের পণ্যায়নের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়নি।’
শ্রীরুপা মনে করেন, ‘শিবানি শিবাজী রয়’ চরিত্রের মাধ্যমে রানি মানুষ পাচারের বিরুদ্ধে লড়তে থাকা অজস্র মানুষদের প্রতিকৃতি তুলে ধরেছেন। ‘সাহসী আর ক্ষমতাশালী এক পুলিশ অফিসারের চরিত্র আপনি খুব সহজে ফুটিয়ে তুলেছেন পর্দায়, সেইসাথে দিয়েছেন একদম দরকারী আর সঠিক বার্তা’- রানিকে অভিবাদন জানিয়ে এভাবেই বলেন তিনি।
গত বছরের ২২ আগস্ট মুক্তি পায় অ্যাকশন থ্রিলার ‘মরদানি’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন প্রদীপ সরকার।