ক্যাপ্টেন প্ল্যানেটের মতো উড়তে গিয়েছিলাম : সন্ধি
সন্ধি কেবল গান গান না, করেন পরিচালনাও! শিশুদের প্রিয় কার্টুন ‘ডোরা : দি এক্সপ্লোরার’ বাংলা ভাষান্তরে এই শিশুশিল্পীদের কণ্ঠনির্দেশনাও দিচ্ছেন। শুধু কি তাই? সঙ্গে ডোরা কার্টুনের ম্যাপ, ট্রোল, ফক্স তিন-তিনটে চরিত্রেও কণ্ঠ দিচ্ছেন একাই! ডোরা কার্টুনে কাজ নিয়ে কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে। সাথে আলাপে জুড়ে বসল গান-বাজনার কথা।
ডোরা কার্টুনের কণ্ঠ পরিচালনার কাজ করছেন শুনলাম। কেমন লাগছে?
অ্যানিমেশনের কাজ করা অনেক কঠিন। তবুও কাজটা করে মজা পাচ্ছি অনেক। আমার কয়েকজন বন্ধু দিথি, পুলক, শোভন, বিহনের কাছ থেকেও বেশ সহায়তা পাচ্ছি কাজে।
ম্যাপ, ট্রোল, ফক্স তিনটি চরিত্রে আপনার কণ্ঠ দিতে কেমন লাগছে?
এককথায় দারুণ। অনেক উপভোগ করছি। ম্যাপের কমন ডায়ালগ হলো ‘আমি সে ম্যাপ, আমি সে ম্যাপ...।’ প্রতিটি পর্বেই ম্যাপ আছে। ফক্সের ডায়ালগ ‘তোমরা এটা কখনো খুঁজে পাবে না...।’ শিশুদের আমি অনেক ভালোবাসি।
তাদের অনুভূতি বুঝেই কণ্ঠ দিচ্ছি। অনেক মজা পাচ্ছি।
ছোটবেলায় কোন কোন কার্টুন দেখতেন?
আমি তো ছোট থাকতে অনেক বেশি কার্টুন দেখতাম। ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট আমার সবচেয়ে প্রিয়। বাসায় ক্যাপ্টেন প্ল্যানেটের মতো উড়তে গিয়েছিলাম। ফলাফল আর কী, মাথায় পেলাম প্রচণ্ড ব্যথা। এখনও দাগ রয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন এবং নাটকের আবহ সংগীত পরিচালনা করতে কেমন লাগে?
এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি উপভোগ করি। আবহ সংগীত তৈরি করতে সৃজনশীলতা অনেক বেশি প্রয়োজন।
কোন ধরনের গান শোনা হয়?
এটার ঠিক নেই। বাংলা, ইংরেজি, আরবি—সবই শুনি। দিন ও রাতের যেকোনো সময় গান শুনতে অনেক ভালো লাগে। ইউটিউবে নতুন শিল্পীদেরও অনেক গান শুনি।
কনসার্ট অথবা টিভি লাইভ—কোনটা করতে ভালো লাগে বেশি?
অবশ্যই কনসার্ট!
আপনি কী কী বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন?
গান যত ভালো গাইতে পারি, ততটা বাদ্যযন্ত্র ভালো বাজাতে পারি না! আমি তাই গানেই অনেক ফোকাস দিই। তবে ড্রাম, বেজ গিটার, ভায়োলিন, পিয়ানো, দোতারা বাজাতে পারি। ভায়োলিন বাজানো অনেক কঠিন।