বিয়ের পরও আমরা বন্ধু : নওরীন
নওরীন শরিফ শার্লিন, সংগীতশিল্পী। ২০০৫ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান- তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় ছিলেন সেরা দশের একজন। ২০০৭ সালে বেরিয়েছিল তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘কৃষ্ণচূড়া’। তারপর লম্বা বিরতি। অবশেষে এ বছর ভালোবাসা দিবসে বেরিয়েছে তাঁর দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘চুপিসারে’। গানের অ্যালবামের নাম ‘চুপিসারে’ হলেও বিয়ে চুপিচুপি করেননি নওরীন। পারিবারিক সম্মতিতে আজ সকালে বিয়ে হয়েছে তাঁর। বরের নাম রেজওয়ান আহমেদ, একটি বেসরকারি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আজ সন্ধ্যায় মহাখালী রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছে নওরীনের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। ব্যস্ততার মাঝেও এনটিভি অনলাইনের সাথে কথা বলার সময়টুকু বের করে নিলেন।
প্রশ্ন : এখন কোথায় আছেন?
উত্তর : পার্লারে আছি।
প্রশ্ন : কেমন আছেন?
উত্তর : ভালো আছি।
প্রশ্ন : বিয়ের পর কেমন লাগছে?
উত্তর : আগে কারো মেয়ে বা বোন ছিলাম। আজ থেকে কারো বউ। দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। একটু ভয় ভয় করছে।
প্রশ্ন : শুনলাম আপনার বর নাকি আপনার ক্লাসমেট ছিলেন?
উত্তর : ঠিকই শুনেছেন। আমরা একসঙ্গে সিটি কলেজে বিবিএ পড়েছি।
প্রশ্ন : তাহলে কি আপনাদের মধ্যে প্রেম ছিল?
উত্তর : না। আমরা ভালো বন্ধু ছিলাম। বিয়ের পরও আমরা বন্ধু। ভবিষ্যতেও আমরা ভালো বন্ধু থাকব।
প্রশ্ন : তাহলে প্রোপোজটা কীভাবে হলো?
উত্তর : আমাকে হঠাৎ একদিন রেজওয়ান বলল, ‘নওরীন আমি তোকে পছন্দ করি। বিয়ে করতে চাই।’ পরে আমি ওকে বলি, ‘তাহলে তুই আমার বাসায় বল, তাঁরা রাজি হলে বিয়ে হবে। আর না হলে হবে না।’ পরে অবশ্য আমার বাসা ওর প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল। গত বছর ১৮ অক্টোবর আমাদের আংটিবদল হয়।
প্রশ্ন : রেজওয়ানের কোন বিষয়টি আপনার ভালো লাগে?
উত্তর : আমাকে ভালো বোঝে এবং আমার গান অনেক পছন্দ করে। আরেকটা কথা, ওদের পরিবারের সবাই সংস্কৃতিমনা।
প্রশ্ন : বন্ধু থাকা অবস্থায় আপনাকে রেজওয়ান প্রথম কী উপহার দিয়েছিল?
উত্তর : মাটির গহনা।
প্রশ্ন : ভালোবাসা দিবসে কী উপহার পেয়েছিলেন?
উত্তর : একটা সুন্দর কার্ড। কার্ডের ওপরে লেখা ছিল, ‘গুড মর্নিং প্রিন্সেস’!
প্রশ্ন : আপনাকে কি রেজওয়ান ‘প্রিন্সেস’ ডাকেন?
উত্তর : হুম!