বেঁচে থাকলে আশিতে পা দিতেন এলভিস
বেঁচে থাকলে এ বছর ৮০-তে পা দিতেন রক অ্যান্ড রোলের রাজা এলভিস প্রিসলি। তিনি নেই তবে রয়েছে তাঁর অসাধারণ কণ্ঠের গান, রয়ে গেছে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র। তরুণদের ফ্যাশন আইকন এই রকস্টারের প্রভাব রয়ে গেছে কয়েক প্রজন্ম ধরে। ‘রক অ্যান্ড রোল সম্রাট’ বলা হয় তাঁকে। দুনিয়াজুড়ে ১০০ কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে তাঁর গানের রেকর্ড। অভিনয় করেছেন ৩৩টি ছবিতে, যার সবগুলোই ছিল সফল। রিডার্স ডাইজেস্ট থেকে নেওয়া এলভিস প্রিসলির জীবনের কিছু সত্য ঘটনা ও তথ্য আপনাদের জন্য।
১. মিসিসিপির পূর্ব তুপেলো শহরে ১৯৩৫ সালের ৮ জানুয়ারি জন্মেছিলেন এলভিস। সাথে একটা যমজ ভাইও জন্মেছিল তাঁর, কিন্তু সে ভাইটি মারা যায়। পরে উন্নত জীবনের আশায় টেনেসির মেমফিসে চলে যায় এলভিসের পরিবার।
২. এলভিসের জীবনে পাওয়া প্রথম গিটারটা কেনা হয়েছিল সাড়ে ১২ ডলার দিয়ে। কিন্তু তিনি সেটা চাননি। এলভিস খুব করে চেয়েছিলেন একটা সাইকেল কিনতে। কিন্তু এলভিসের বাবা মার কাছে টাকা ছিল না, তাই ১৯৪৬ সালে তাঁরা এলভিসকে একটি গিটার কিনে দেন। সেটাই ছিলো রকস্টারের প্রথম গিটার।
৩. ১৯৫৭ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে এক লাখ ডলারের বিনিময়ে টেনেসির মেমফিসে ‘গ্রেসল্যান্ড ম্যানসন’ নামের বিশাল বাড়ি কিনেছিলেন এলভিস।
৪. ১৯৯৪ সালে এলভিসের একমাত্র বোন লিসা ম্যারি প্রিসলিকে বিয়ে করেছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। অবশ্য মাত্র দুই বছর টিকেছিল সে বিয়ে।
৫. জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে তখনই ১৯৫৮ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে ছিলেন এলভিস। এ সময় জার্মানির ফ্রাইডবার্গে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এলভিসের এই সময়কার জীবনী নিয়ে ১৯৬০ সালে নির্মিত হয় ‘জি আই ব্লুস’ চলচ্চিত্রটি। এতে অভিনয় করেন এলভিস।
৬ ১৯৫৯ সালে জার্মানির বাড ন্যুয়হেইম প্রিসিলার সাথে প্রথম দেখা হয় এলভিসের। সেই সময় প্রিসিলার বয়স ছিল মাত্র ১৪। প্রিসিলার সৎবাবা ছিলেন কানাডিয়ান এক সামরিক কর্মকর্তা। সেই সূত্রেই জার্মানিতে ছিল প্রিসিলার পরিবার। প্রথম দেখার আট বছর পর ১৯৬৭ সালে লাস ভেগাসে বিয়ে করেন এলভিস ও প্রিসিলা।
৭. ১৯৬০ সালে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছিলেন এলভিস। জার্মান প্রশিক্ষক জুরেন সিডেলের কাছে কারাতে শিখেছিলেন তিনি।
৮. লাইভ কনসার্টে গিটার বাজাতেন এলভিস, অটোগ্রাফের ব্যাপারেও উদার ছিলেন তিনি। তবে শত অনুরোধ করলেও একই কনসার্টে এক গান কখনোই দুবার গাইতেন না তিনি।
৯. মায়ের প্রতি তীব্র ভালোবাসা ছিল এলভিসের। নিজের অনুপ্রেরণা হিসেবে সব সময় মা গ্লাডিস প্রিসলির কথা বলতেন তিনি। এলভিসের মা সব সময় ছেলের সাফল্য কামনা করতেন। কিন্তু এলভিস যখন তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন, তখন কাজের ব্যস্ততার কারণে মায়ের কাছ থেকে দূরে সরে যান তিনি। এলভিসকে কাছে না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এলভিসের মা। অতিরিক্ত মুটিয়ে যান এবং একসময় মৃত্যুবরণ করেন। মায়ের মৃত্যুর জন্য নিজেকে সব সময় দায়ী করেছেন এলভিস।
১০. এলভিসের রেকর্ডের বেশির ভাগ বিক্রি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। মোট বিক্রির ৪০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে হলেও দেশের বাইরে কখনো স্টেজ শোতে অংশ নেননি এলভিস। শুধুমাত্র ১৯৫৭ সালে কানাডায় একবার মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি।