বলিউডের অভিনেত্রীরাও আতঙ্কে ভোগেন!
তাঁরা বড়পর্দার তারা। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে হয়তো তাই তেমন ভাবতে হয় না তাঁদের, কোথাও যাওয়ার আগেই তৈরি হয়ে যায় বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী। কিন্তু বসবাস যখন ভারতে, তখন সব সময় নিরাপদ বোধ করাও তো দুষ্কর। নারী নির্যাতনের নজির এই ভারতের নয়াদিল্লি বা কলকাতা কোথাও তো কম নয়! বলিউডের তারকা অভিনেত্রীরা জানিয়েছেন রাস্তাঘাটে নারীদের অনিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের আশঙ্কার কথা। তারকা হলেও আর দশটা নারীর মতো তাঁরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন- এমনই জানা গেল পিংকভিলা থেকে। রাখঢাক না রেখেই তাঁরা জানিয়েছেন নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা।
শাবানা আজমি
‘নির্যাতনের হুমকি হচ্ছে নারীকে তার সব ধরনের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করার এক মোক্ষম উপায়। অথচ নিজের স্বাধীনতা ভোগ করা তো নারীর অধিকার। পৌরুষের সংজ্ঞায়নটা আমাদের একটু নতুন করে করা দরকার, এটা কেন পেশিশক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে প্রদর্শিত হবে?’
দিয়া মির্জা
‘নিজের দেশেই নিরাপদ বোধ করি না আমি! আমার নিরাপত্তা নিয়েও ভয়ে থাকে আমার পরিবার। আমাদের দেশ কিছু ভয়ঙ্কর অসুস্থ মানসিকতার লোকে ছেয়ে গেছে। এই মহামারি ব্যাধিকে এখনই চিহ্নিত করতে হবে। এগুলোকে ভুলে গেলে বা অবহেলা করলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি কখনোই বদলাবে না।’
পূজা বেদি
এমন কোনো দেশ নেই যেখানে অপরাধ হয় না। কিন্তু এ দেশে রাজনৈতিক অসাড়তা এবং আইন প্রয়োগে অবহেলার কারণে অপরাধ ত্বরান্বিত হয়।
কাল্কি কোচলিন
না, মেয়েরা রাস্তায় মোটেও নিরাপদ নয়। কারণ, বেশির ভাগ মানুষের চিন্তাটা এ রকম যে মেয়েরা রাস্তায় বেরোতেই পারবে না।
এষা গুপ্ত
আমার নিরাপদ লাগে না।
পূজা ভাট
মেয়েদের আসলে নিজেদের বাড়িতেও নিরাপদ বোধ করার কোনো কারণ নেই। এটা নারীদের জন্য ভারতে সবচেয়ে অন্ধকার সময়।
দিব্যা দত্ত
আমার মাঝে সব সময়ই একটা ভয় লুকিয়ে থাকে।