ফাঁসির আসামিদের পাশের ঘরে থাকতেন সঞ্জয়
সঞ্জয় দত্তের জেল খাটা নিয়ে বেশ হাসিঠাট্টাও প্রচলিত আছে সামাজিক মাধ্যমে। মাঝেমধ্যেই প্যারোলে ছুটি নিয়ে বাড়িতে থেকে আসতেন, সিনেমার কাজ করতেন, আবার পরিবারের সঙ্গেও দিব্যি সময় কাটতেন। এ কারণেই সঞ্জয়ের এই কয়েদি জীবনকে ‘বিলাসবহুল’ হিসেবেও মন্তব্য করতেন অনেকে। প্রকৃতপক্ষে, জেলখানায় কিন্তু বেশ কড়া নিরাপত্তা আর নিয়মকানুন মেনেই চলতে হয়েছে সঞ্জয়কে। বিবিসির খবরে জানা গেল, চলাফেরার সময় চারজন পুলিশ সব সময় পাহারা দিয়ে রাখত সঞ্জয়কে।
পাহারার কথা না হয় বাদই দেওয়া হোক, সঞ্জয়ের আবাসস্থলের কথা জানলেও ভয় পেতে পারেন অনেকেই। সঞ্জয়কে রাখা হয়েছিল একটি উচ্চ-নিরাপত্তা ব্যবস্থাসম্পন্ন কক্ষে, যার সামনেই ছিল ‘ফাঁসি’ ওয়ার্ড। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, এই ওয়ার্ডে রাখা হতো ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের। এই আসামিদের সঙ্গে অন্য কোনো কয়েদিদের কথা বলার সুযোগও ছিল না নিরাপত্তাজনিত কারণে। এরাই ছিলেন সঞ্জয়ের প্রতিবেশী!
সঞ্জয় নিজে থাকতেন আট ফুট বাই ১০ ফুট আকৃতির একটি সেলে, তিনি কয়েদিদের সাদা পোশাকও পরতেন। তাঁর কারাকক্ষের সামনে একটি একশ’ বর্গফুট আকৃতির বাগান ছিল। প্রহরীদের নজরদারি থাকা অবস্থায় সেখানে চলাফেরার অনুমতি ছিল তাঁর।
১৯৯৩ সালে মুম্বাই বোমা হামলার সময় বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ২০০৭ সালে সঞ্জয়কে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ১৮ মাস সাজা খেটে জামিনে মুক্তি পান সঞ্জয়। কিন্তু ২০১৩ সালের মার্চে আবারও তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তার পর থেকে শুরু হয় সঞ্জয়ের জেলজীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়, যার চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটল আজ।