আমার পক্ষে ওসব সম্ভব নয় : সোনিয়া
‘ইউটার্ন’ করেছেন—বাস্তবে, রুপালি জগতেও। শিগগিরই পর্দায় দেখা যাবে রুপালি জগতের ‘ইউটার্ন’। আর তার ওপরই নির্ভর করছে বাস্তব জগতের ইউটার্ন কতটা সঠিক হলো।
ছোটপর্দার প্রিয় মুখ সোনিয়া এখন এমন সন্ধিক্ষণেই দাঁড়িয়ে। নাটকে অভিনয় আর বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করে এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। পা রেখেছেন সিনেমার আলো-ঝলমলে বন্ধুর ভুবনেও।
মাঝে সোনিয়ার বড় একটা সময় কেটেছে ‘ইউটার্ন’ আর ‘রাত্রির যাত্রী’ নামে দুটি ছবির শুটিংয়ে। এর মধ্যে ‘ইউটার্ন’ এখন মুক্তির অপেক্ষায়।
বড়পর্দায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে বেশ সতর্ক সোনিয়া। ভালো গল্প, ভালো ছবি হলেই কেবল অভিনয়ে আগ্রহী তিনি। এনটিভি অনলাইনকে বললেন, ‘এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটা ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু গল্প সেভাবে পছন্দ না হওয়ায় ফিরিয়ে দিয়েছি।’
সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অবলা নারী’ ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল সোনিয়ার, যে ছবির ইংরেজি নাম রাখা হয় ‘ওয়াও বেবি ওয়াও’। গত মাসের মাঝামাঝিতে অনুষ্ঠিত ছবিটির মহরতেও ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নেন সোনিয়া। এ ব্যাপারে তিনি বললেন, ‘সোহান আঙ্কেল প্রস্তাব দেওয়ায় প্রথমে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু সব দিক থেকে পছন্দ না হওয়ায় ছবিটি আর করিনি।’
‘চাইলে তো ছবি করাই যায়। এমন নায়িকাও আছেন, যাঁরা ছবি মুক্তির আগে অনেকগুলো ছবি হাতে নিয়ে বসে আছেন। কিন্তু আমি ওসব করতে চাই না। আমার পক্ষে ওসব সম্ভবও নয়। আসলে সবাইকে দিয়ে সবকিছু হয় না। ভালো ছবির অপেক্ষায় আছি। পেলে অবশ্যই করব’, যোগ করেন সোনিয়া।
মিডিয়ায় সোনিয়ার আত্মপ্রকাশ ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে, ‘ইউ গট দ্য লুক’ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে। ওই প্রতিযোগিতায় শীর্ষ পাঁচে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে মডেলিং ও অভিনয়ে আসা। এর পর ইউনিলিভারসহ কয়েকটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন। এখন দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে তাঁর প্রাণ লাচ্ছির বিজ্ঞাপনটি। মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে তাঁর অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘দোস্ত দুশমন’। এ ছাড়া আগামী মাসে তাঁর অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘সায়াহ্ন’ এনটিভিতে এবং আরটিভিতে ‘শান্তি অধিদপ্তর’ প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।
২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ছিলেন সোনিয়া, সেটা লেখাপড়ার স্বার্থে। পড়ার সময়েই সেখানে বাংলাদেশের একটি নাটকের শুটিং করেন তিনি। নর্দামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক (এলএলবি) শেষে সেখানকার একটি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি নেন সোনিয়া। যুক্তরাজ্যের ক্রাউন কোর্টে ভিকটিম সাপোর্ট টিমেও কিছুদিন কাজ করেছেন তিনি।
তবে প্রাণের টানে গত বছর ফিরে আসেন বাংলাদেশে। ফিরে যান মডেলিং আর অভিনয়ে। বাংলাদেশে আইনজীবী হিসেবে কাজ না করে কেন অভিনয়ে—এমন প্রশ্নে সোনিয়া বললেন, ‘অভিনয় আর মডেলিংয়ের প্রতি ভালোলাগাটা ছোটবেলা থেকেই ছিল। এ কারণেই আবার অভিনয়ে ফেরা। আইন বিষয়ের প্রতি ততটা ভালোলাগা কখনোই ছিল না। তবে ইংল্যান্ডে কিছুটা উপভোগ করেছি। আর এ দেশে তো আইনজীবী হিসেবে কাজ করা খুব কষ্টকর। আমার দ্বারা সেটা সম্ভব নয়।’
সোনিয়া জানান, নাটকে অভিনয় ও বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করেই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। রুপালি পর্দায় থিতু হবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন ‘ইউটার্ন’ ছবি মুক্তির পর। তিনি বলেন, ‘ইউটার্ন ছবিটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। কতটা সফল হব, জানি না। সেটা মুক্তির পর সিদ্ধান্ত নেব, সিনেমায় স্থায়ী হব কি না।’