জেলে বসে কবিতা লিখতেন সঞ্জয়, জমাতেন টাকা
৪২ মাস জেলে কাটিয়ে সদ্য জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। তবে জেলে থাকাকালীন সাড়ে তিন বছরের সময়ে নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করেছেন বলিউডের ‘মুন্নাভাই’।জেলের বাইরে এসে সাড়ে তিন বছরের জেল জীবনের নানান অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন অকপটে।
পুনের ইয়েরওয়াড়া জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সঞ্জয় বলেন, ‘জেলে থেকে আমি বুঝতে পেরেছিলাম সাধারণ মানুষের কাছে অর্থের মূল্য ঠিক কতটা। মানুষের জীবনে অর্থের দাম কতটা তা জেলে না থাকলে হয়তো এভাবে উপলব্ধি করতে পারতাম না।’
জেল থেকে প্রতিমাসে জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হাতখরচ বাবদ সঞ্জয় ২ হাজার রুপি করে পেতেন। আর হাতখরচের অর্থ থেকে নানা খাতে খরচা করেও প্রতিমাসে ২০ রুপি করে সরিয়ে রাখতেন তিনি। যা তাঁর কাছে ছিল একমাত্র সঞ্চয়। প্রতিমাসে জমানো সেই অর্থে প্রয়োজন পড়লেই হাত দিতেন সঞ্জয়।
তবে জেলে থেকে সঞ্চয় করতেই শুধু শেখেননি সঞ্জয়। জেল যাপনের অখণ্ড অবসরে তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন কবিও। এর আগে ‘সাজন’ ছবিতে কবির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, এবারে দীর্ঘ ৪২ মাসের জেল যাপন তাঁকে বাস্তবেও কবি করে দিয়েছে! জেলে বসেই ৫০০টির মতো শায়েরি (এক ধরনের কবিতা) লিখে ফেলেছেন, আর এখন তা বই আকারে প্রকাশ করতেও আগ্রহী তিনি। জানালেন, জেলের দুই কয়েদিকে দেখে প্রথম কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা জন্মায় তাঁর। সেই কয়েদি দুজনের নাম ছিল সমীর এবং জিশান।
তবে দীর্ঘ এই কারাভোগের পর আজও তিনি জোর গলায় জানিয়ে দিয়েছেন, ১৯৯৩ সালে মুম্বাই বোমা হামলার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগসূত্র ছিল না। স্রেফ বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়েই ৪২ মাস সাজা খাটতে হলো তাঁকে। তবে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে সঞ্জয়ের আজ একটাই প্রাপ্তি, আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি জোর গলায় জানাতে পেরেছিলেন আমি দেশদ্রোহী নই। আর সেই দাবিতে অনড় সঞ্জয়ের কাছে সেটাই ৪২ মাসের জেল জীবনের সবথেকে বড় পাওনা।