‘ভালোবাসার গল্প’ নিয়ে আসছে মুনিয়া আফরিন
আগামী মাসে গানের শুটিংয়ের মাধ্যমে শেষ হচ্ছে অনন্য মামুন পরিচালিত ‘ভালোবাসার গল্প’ চলচ্চিত্রের কাজ। এই ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হচ্ছে মুনিয়া আফরিনের। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রে এটাই আমার প্রথম কাজ। গল্পে আমার চরিত্রটা এমন যে আমার কখনো মনে হয়নি আমি অভিনয় করছি। সবাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। আমি পুরো ইউনিটের কাছে কৃতজ্ঞ।’
ছবিতে নিজের চরিত্র সম্পর্কে নবাগত মুনিয়া বলেন, ‘আমি আসলে গ্রামের গরিব ঘরের একটি মেয়ে। আনিস ভাই আমাদের পাশের গ্রামের ছেলে। আমার ইচ্ছা ডাক্তার হবো। কিন্তু আমাদের যা অবস্থা তাতে কোনো রকম বেঁচে থাকাই কষ্টকর। এমন সময় আনিস ভাই আমাকে পড়াতে থাকেন । তিনি যত টাকা উপার্জন করেন পুরো টাকা আমার পেছনে খরচ করেন। কারণ উনি আমাকে ভালোবাসেন। আরএই ভালোবাসার কারণে আনিস ভাই জীবন উজার করে দেন। অনেক কষ্টে আমাকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে যখনই সুখের হাসি হাসেন তখনই উনার জীবনে নেমে আসে দুঃখ। কারণ আমাদের মেডিক্যাল কলেজের একজন ছাত্র আরজু অনেক বড়লোকের ছেলে। তার সঙ্গে আমার প্রেম হয়ে যায়। এমন এক গল্প নিয়ে অনন্য মামুন স্যারের এই ছবিতে আমি কাজ করছি।’
ছবির পরিচালক অনন্য মামুন বলেন, ‘নিখাদ প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে আমার এই চলচ্চিত্র। নরনারীর প্রেমে পড়া, সম্পর্কের টানাপড়েন, মোহ, আবেগ, অনুভূতি ও বিচ্ছেদ - সবকিছুই থাকছে এই গল্পে। প্রেমের সিনেমাটি দেখে দর্শক মনে করবে, এ তাদেরই গল্প।’
মামুনের দাবি, চলচ্চিত্রের গল্প এতটাই ‘হৃদয়স্পর্শী’ যে দর্শক ছবিটি দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারবে না। তিনি যোগ করেন, ‘আমি ছবিটির মাধ্যমে একটি বার্তা দিতে চাই। তা হলো, ভালোবাসতে আসলে মন লাগে। অর্থ, প্রতিপত্তি কিংবা শ্রেণি-বৈষম্য কখনো ভালোবাসার নিয়ামক হতে পারে না।’
নতুন মুখ নিয়ে কাজ করছেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মামুন বলেন, ‘গল্পের প্রয়োজনে আমার নতুন মুখ দরকার ছিল। একই কারণে প্রতিষ্ঠিত তারকাদের কাউকে আমি এই সিনেমাতে নিতে চাইনি।’
যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে পরিচালক সমিতির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে সমিতির সদস্যপদ হারিয়েছেন মামুন। কিন্তু এরপরও দুটি সিনেমা নির্মাণ করছেন। ববি হক, আনিসুর রহমান মিলন, মৌসুমী হামিদকে নিয়ে তাঁর ‘ব্ল্যাকমেইল’ ছবির শুটিং শেষের দিকে। এ ছাড়া ভারতের হিরণ, ঋত্বিকা ও বাংলাদেশের দীপালী আক্তার তানিয়াকে নিয়ে তিনি শুরু করেছেন ‘তোর জন্য মন দিওয়ানা’ চলচ্চিত্রের শুটিং। সদস্যপদ হারানোর পরও শুটিং অব্যাহত রাখার কারণ হিসেবে মামুন বলেন, ‘পরিচালক সমিতির সদস্যপদ আমি ফিরে পাব বলেই আশা করছি।’