পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পড়শি
সামনে পরীক্ষা অথচ পড়শি দিব্যি গান গেয়ে বেড়াচ্ছেন। আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এই প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পড়শি এবার অংশ নিতে যাচ্ছেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। হাতে একেবারেই সময় নেই তারপরও কনসার্টে তিনি গান গাচ্ছেন নিয়মিত। তাহলে কি পড়াশোনা একদমই হচ্ছে না পড়শির!
এমন প্রশ্ন শুনে পড়শি বললেন, ‘আমি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে প্রস্তুতি মোটামুটি, খুব ভালো বলা যাবে না।’
ক্লাস কি নিয়মিত করা হয়েছে? পড়শি অপরাধীর মতো উত্তর দিলেন, “না আমি নিয়মিত ক্লাস করিনি। আমি খুব ফাঁকিবাজ। স্কুল ও কলেজে সব শিক্ষকরা বলতেন, ‘তুমি এত ফাঁকি দাও, তোমাকে নিয়ে আমরা কী করব?’ কিন্তু আমি যখন ক্লাসে গিয়েছি তখন পুরো মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেছি। কলেজে গেলে আমাকে বাসা থেকে আর কেউ খুঁজে পেত না। কলেজে থাকাকালীন বাসায় ফোনেও যোগাযোগ করতাম না। কলেজ ফাঁকি দিলেও বাসায় পড়াশোনাটা আমি ঠিকই করি। সারাবছর আমি পড়াশোনা করি না।পরীক্ষার আগের রাতে পড়তে বসি। এভাবেই এত দিন পরীক্ষা দিয়েছি।”
কোনো বিষয় নিয়ে কি ভয় হচ্ছে? পড়শি একটু ভেবে উত্তর দিলেন, ‘আই হেট অ্যাকাউন্টিং। অঙ্ক করতে একদম ভালো লাগে না। ছোটবেলায় অঙ্কে আমি টেনেটুনে পাস করেছি, কখনো ৩৩ নম্বরের বেশি পাইনি। ৩০ নম্বর পাওয়াই আমার জন্য দুষ্কর ছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে জাহাঙ্গীর স্যার আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। ছোট বাচ্চার মতো করে অঙ্ক শিখিয়ে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্কুল শেষ করে আমরা ক্লাসমেটরা মিলে অঙ্ক অনুশীলন করেছিলাম। তখন বাসায় ফিরতে আমার রাত ১০টা বেজে যেত। এখন বাসায় অ্যাকাউন্টিং করছি। দেখা যাক কি হয়!’
একটু থেমে পড়শি যোগ করলেন, “ছোটবেলায় নানু বলতেন, ‘পড়শি তোমাকে দিয়ে কখনই অঙ্ক করা সম্ভব নয়।’ এবারেই তো শেষ। পরীক্ষা শেষ হলে জীবনেও আর অঙ্ক করব না। আমার ইংরেজি পড়তে বেশি ভালো লাগে। ভবিষ্যতে কী বিষয় নিয়ে পড়ব তা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়ার ইচ্ছা আছে।”
উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল কেমন আশা করছেন- এমন প্রশ্নে পড়শি বলেন, 'আমাকে যে গোল্ডেন জিপিএ ৫ অথবা এ প্লাস পেতেই হবে সে রকমটা আশা করছি না। আমার পরিবারও আমাকে চাপ দিচ্ছে না। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। একটা ভালো ফলাফলই আমার কাম্য।'