এমন কোনো নেশা ছিল না যা আমি করিনি : সঞ্জয় দত্ত
একটানা ১২ বছর ধরে নেশা করেছেন তিনি। ভারতে এমন কোনো মাদক ছিল না যা তিনি নেননি। সম্প্রতি জেল থেকে মুক্ত হওয়া বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত এমন স্বীকারোক্তিই দিলেন।
সঞ্জয় জানিয়েছেন, একটা সময় অতিরিক্ত নেশা করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই সময় তাঁর বাবা প্রয়াত অভিনেতা সুনিল দত্ত তাঁকে নেশা ছাড়ানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে সঞ্জয় দত্তকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছেও দেখানো হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেই চিকিৎসক চিকিৎসা শুরুর আগে সঞ্জয় দত্তকে মাদকের একটি দীর্ঘ তালিকা দেন। সেই তালিকা দেখার পর সব কয়টি মাদকের পাশেই টিক চিহ্ন দিয়েছিলেন সঞ্জয়। কারণ, সমস্ত মাদকই তাঁর নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। সব দেখেশুনে ওই চিকিৎসক রীতিমতো তাজ্জব বনে যান। তিনি সঞ্জয় দত্তের বাবা সুনিল দত্তকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনারা ভারতে কী ধরনের খাবার খান?’ কারণ হিসেবে পরে চিকিৎসক বলেন, ‘সঞ্জয় যে পরিমাণ এবং যে যে ধরনের মাদক গ্রহণ করেছেন তাতে তার বেঁচে থাকার কথা নয়। অদ্ভুতভাবে সে বেঁচে রয়েছে!’ সঞ্জয় দত্তের মাদক সেবনের তালিকা দেখে সেই সময় রীতিমতো বিস্মিত হয়েছিলেন মার্কিন মুলুকের ওই চিকিৎসক।
এতদিন পর নিজের নেশা করার আদ্যপান্ত ইতিহাস সবাইকে জানান সঞ্জয় দত্ত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, নেশা করার কথা খোলামেলা স্বীকার করার পাশাপাশি বেআইনি অস্ত্র রাখা এবং ভারতীয় টাডা আইনে ফেঁসে যাওয়া সম্পর্কেও মুখ খুলেছেন সঞ্জয় দত্ত। তিনি বলেন, টাডা আইন আসলে কী সেটাই জানা ছিল না তাঁর। আর আইন না জানাটা যে ভুল ছিল সে কথাও মেনে নিয়েছেন তিনি। সঞ্জয় বলেন, ‘টাডা আইন না জানার ফলে ওই আইনেই ফেঁসে জেল খাটতে হয়েছে তাঁকে।’ আর টাডা আইন জানতেন না বলেই বারবার তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ।
‘টাডা’ বা Terrorist and Disruptive Activities আইনটি একটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ আইন। ভারতে এই আইনটি পাস হয় ১৯৮৫ সালে।