এনটিভিতে আজ ‘জ্যোৎস্না ও জল’
বিয়ের পর বাঙালি নারীর সন্তান না হলে ঘরে-বাইরে এখনো অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাদের। ‘জ্যোৎস্না ও জল’ টেলিফিল্মটি এমনই একটি পটভূমি নিয়ে রচিত। টেলিফিল্মটি লিখেছেন তৌকির আহমেদ। আজ দুপুর আড়াইটায় এনটিভিতে প্রচারিত হবে টেলিফিল্মটি।
জ্যোৎস্নার বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর। স্বামী তাজু আর শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে ভালোই কাটছিল তার সময়। কিন্তু বংশধরের চিন্তায় প্রায়ই জ্যোৎস্নার অপারগতার কথা তুলে ছেলে তাজুকে অস্থির করে তোলে তার বাবা-মা। তাজুকে দ্বিতীয় বিয়ের কথা বলে তারা।
তাজু বউকে খুবই ভালোবাসে। কিন্তু হঠাৎ করেই অসুস্থ বাবার অনুরোধে দ্বিতীয় বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায় তাজু। পাত্রী পাশের গ্রামের অভাবী ঘরের মেয়ে পারুল। চোখের জলে বুক ভাঙে জ্যোৎস্নার।কিন্তু স্বামীকে সে ভালোবাসে, অশ্রু লুকিয়ে সে নতুন বউয়ের বাসর সাজায়।
কিন্তু নতুন বউ পারুলের ব্যবহার দিন দিন রূঢ় হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত জ্যোৎস্না আর না পেরে ফিরে যায় বাপের বাড়িতে। মেয়ের অপমানের প্রতিবাদ করে জ্যোৎস্নার বাবা তাজুকে তালাক দিতে বলেন। কিন্তু ততদিনে জ্যোৎস্না নিজের মধ্যে অনুভব করে মাতৃত্বের অনুভূতি। সে অন্তঃসত্ত্বা।
‘জ্যোৎস্না ও জল’ টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন আরিফ খান। জ্যোৎস্না চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিপাশা হায়াত, তাজু চরিত্রে মাহফুজ আহমেদ ও পারুল চরিত্রে তারিন।
পরিচালক আরিফ খান বলেন, ‘ভালো শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও অনেক ভালো হয়। কারণ, তাঁরা কাজটি মন দিয়ে করেন। তৌকির আহমেদের লেখায় টেলিফিল্মটিতে কাজ করেছেন বিপাশা হায়াত। তাই কাজটি করতে অনেক সুবিধা হয়েছে। মাহফুজ আহমেদ ও তারিনও আমাকে সহযোগিতা করেছেন। রাজেন্দ্রপুরের হোতাপাড়ায় আমরা টেলিফিল্মটির শুটিং করেছি। আমি নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে সব সময় গল্পের ওপর জোর দিই। গল্পের গাঁথুনি মজবুত না হলে আমি নাটক নির্মাণ করে আরাম পাই না। একঘেয়েমি কাজ করতেও আমার ভালো লাগে না।’