রুনা লায়লার সংগীতজীবনের সুবর্ণজয়ন্তী
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় উপমহাদেশের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এন্টারেজ এন্টারটেইনমেন্ট, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সেলিব্রেশন অব মিউজিক কনসার্ট’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী কেকে ও বলিউডের নায়ক ফাওয়াদ খান গান ও নাচ পরিবেশন করেন।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান এন্টারেজ এন্টারটেইনমেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পরিচালক ফারিয়া ঈমান বলেন, “উপমহাদেশের বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার সংগীতজীবনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমাদের ‘সেলিব্রেশন অব মিউজিক’ শিরোনামের এই কনসার্টের আয়োজন করি।”
শাহ আমীর খসরুর প্রযোজনায় ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে আরটিভি। এই অনুষ্ঠানে উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লা একে একে তাঁর বিখ্যাত গান গেয়ে শোনান।
‘মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’, ‘হ্যালো হ্যায়’ ‘সাধের লাউ বানাইল মোরে, ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে’ ‘বন্ধু তিন দিন তোর’, ‘যখন থামবে কোলাহল’ এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী রুনা লায়লা। কখনো শিল্পী হবেন এটা চিন্তা করেননি তিনি। বড় বোন দিনা লায়লা যখন গান শিখতেন, তখন খেলাধুলা করতেন রুনা। তবে বোনের গান শোনা হতো নিয়মিত। আর গান শুনেই খুব সুন্দর করে গলায় তুলে নিতেন রুনা। পরে বাবা-মায়ের আগ্রহে বোনের সঙ্গে গান শিখতে শুরু করেন তিনি। রুনা লায়লার শিক্ষক ছিলেন আবদুল কাদের ও হাবিব উদ্দিন।
শুধু বাংলায় নয়, মোট ১৭ ভাষায় রুনা লায়লা গান গেয়েছেন। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি তো গাইতেন তার পাশাপাশি পাঞ্জাবি, আরবি, উর্দু, সিন্ধি, ফ্রেঞ্চ, পশতু, বেলুচি, পারসিয়ান, মালয়, জাপানি, ইতালিয়ান ভাষায় গান গাইতে পারদর্শী কিংবদন্তি এই শিল্পী।
গিনেস বুকেও স্থান পেয়েছেন রুনা লায়লা। নিসাব বাজমির সুরকারের তিনদিনে ১০টি করে মোট ৩০টি গান রেকর্ড করেছিলেন রুনা লায়লা। তারপরই গিনেস বুকে স্থান করে নেন তিনি। ছয় বছর বয়সে গান গাওয়া শুরু করলেও পেশাদারিত্ব নিয়ে গান গাওয়া শুরু করেন ১৯৬৫ সালে। এ বছরেরই জুন মাসে তিনি উর্দু ‘জুগনু’ ছবিতে গান গেয়েছেন। এরপর কেটে গেছে ৫০ বছর। ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। আর গেয়ে চলছেন এখনো।