এখন নাটকে কমেডির নামে ভাঁড়ামিটাই হয় : তুহিন হোসেন
এনটিভির সাতদিনের ঈদ অনুষ্ঠানমালার প্রতিদিন প্রচারিত হবে কমেডিনির্ভর ধারাবাহিক নাটক ‘সাবলেট গুবলেট’। এটি পরিচালনা করেছেন তুহিন হোসেন। ধারাবাহিক নাটকটির বিভিন্ন বিষয়, বর্তমান ব্যস্ততা এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন : ঈদের নাটকের ব্যস্ততা কেমন?
উত্তর : সত্যি বলতে ঈদের নাটক নিয়ে খুব বেশি ব্যস্ত। বলতে পারেন দম ফেলার সময় নেই।
প্রশ্ন : কী কাজ করছেন?
উত্তর : এনটিভির জন্য ‘সাবলেট গুবলেট’ নামে সাত পর্বের একটি ধারাবাহিক নাটক করছি। যেটা ঈদের দিন থেকে সাতদিন পর্যন্ত প্রচারিত হবে। এ ছাড়া বৈশাখী টিভির জন্য ‘বউগিরি’ নামে একটি পাঁচ পর্বের নাটক করছি। এখন শুট করছি চ্যানেল নাইনের ঈদের টেলিফিল্মের।
প্রশ্ন : ‘সাবলেট গুবলেট’ সম্পর্কে কিছু বলুন।
উত্তর : এটি একটি পারিবারিক কমেডিনির্ভর নাটক। এখন তো নাটকে কমেডির নামে ভাঁড়ামিটাই বেশি দেখানো হয়। তবে এই নাটকে কমেডির নামে ভাঁড়ামিটা এখানে থাকছে না। এটা মূলত তাদের গল্প, যারা মফস্বল শহর থেকে এসে ঢাকায় সাবলেট থাকছে। অর্থাৎ ব্যাচেলর। নাটকের গল্পে দেখা যাবে মাস্টার্স পাস করা ছেলে একটি পরিবারে সাবলেট হিসেবে উঠতে যায়। তখন দেখে সেই পরিবারের সবাই সহজ-সরল প্রকৃতির। এই সহজ-সরল চরিত্রগুলোকে নিয়েই নাটকের গল্প।
প্রশ্ন : নাটকের নাম ‘সাবলেট গুবলেট’ কেন?
উত্তর : একটি ছেলে সাবলেট ভাড়ায় একটি পরিবারে ওঠে। তারপর নানা কারণে ওই পরিবারে গুবলেট অবস্থার সৃষ্টি হয়। সাবলেট ওঠার পর পরিবারের গুবলেট তৈরি হওয়ার জন্যই মূলত নাটকটির নাম ‘সাবলেট গুবলেট’ রাখা হয়েছে।
প্রশ্ন : ঈদের এত নাটকের মাঝে আপনার এই নাটকটি কেন দর্শক দেখবে?
উত্তর : আমাদের চারপাশের গল্প নিয়েই নাটকটি নির্মিত হয়েছে। ঢাকা শহরে খুব কম মানুষ পাওয়া যাবে যারা ব্যাচেলর, সাবলেটের অভিজ্ঞতা অর্জন করেননি। নাটকটি দেখার সময় দর্শক কখনো নিজেকে আবার কখনো পাশের ফ্ল্যাটের সাবলেট থাকা ছেলেটিকে দেখতে পাবে। সব মিলিয়ে এটি আমাদের জীবনের গল্প, যে কারণে দর্শক এটি দেখবে। আমি আশাবাদী দর্শক নাটকটি বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করবে।
প্রশ্ন : ঈদের নাটকের ক্ষেত্রে ভাষা বিকৃতি, মানহীন নির্মাণ এবং জোর করে মানুষ হাসানো ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ ওঠে। এ ক্ষেত্রে আপনি কতটা সচেতন?
উত্তর : আমি সব সময় সচেতন থাকার চেষ্টা করেছি। মানুষ একশো ভাগ সচেতন থাকলে আশি ভাগ পারফেকশন আসে। আমি সেই জায়গা থেকে একশো ভাগ সচেতনতা অবলম্বন করেছি। বাকিটা দর্শক বলতে পারবেন।
প্রশ্ন : বেশ কয়েক বছর ধরে চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপনের হার ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। দর্শকদের মধ্যে দেশীয় নাটকের প্রতি একধরনের অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। নাটকের জন্য বিজ্ঞাপন কতটা ক্ষতিকারক বলে মনে করেন?
উত্তর : অতিমাত্রার বিজ্ঞাপন নাটকের জন্য সব সময় খারাপ। এতে নাটকের প্রতি দর্শক মনোযোগ হারায়। তবে খুশির খবর হলো আমার এই নাটকটিতে মাত্র দুই মিনিট বিজ্ঞাপন বিরতি থাকবে। সুতরাং দর্শক মনোযোগ সহকারে আমার এই নাটকটি দেখতে পারবেন।
প্রশ্ন : চ্যানেল হিসেবে এনটিভি কতটা পরিচালকবান্ধব?
উত্তর : ব্যক্তিগতভাবে এনটিভির কাছে আমি অনেক বেশি ঋণী। আমার পরিচালক হওয়ার পেছনে এনটিভির অনেক অবদান। বিভিন্ন দিবসে আমি এনটিভির নাটক নির্মাণ করে আসছি। এনটিভি আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে। শুধু আমাকে না, এনটিভি অনেক নতুন পরিচালককে কাজ করার সুযোগ দেয়। যদি কেউ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে তাহলে সে সফল হবে। এনটিভি পরিচালকদের যেমন সুযোগ দিচ্ছে তেমন সুযোগ যদি অন্যান্য চ্যানেল দেয়, তাহলে আরো ভালো নির্মাতা বেরিয়ে আসবে বলে আমি মনে করি।