৪৮-এ মাধুরী দীক্ষিত
‘অবোধ’ নামের এক নামডাকহীন ছবি। সময় ১৯৮৪ সাল। বলিউড হয়তো তখন ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি, এই ছবিতে অভিষিক্ত সরল মুখাবয়বের মেয়েটি এক যুগ ধরে বলিউড একহাতে শাসন করতে চলেছেন। সেই মাধুরী দীক্ষিত, আর এক-দো-তিনের মাধুরী দীক্ষিত আজ পা রাখলেন ৪৮-এ।
মাধুরীর প্রথম ছবিতে বিপরীতে ছিলেন, এই তৃপ্তি নিশ্চয়ই সময়ে সময়ে পান টালিউডের ডাকসাইটে অভিনেতা তাপস পাল। তবে অবোধের সাফল্য নিয়ে ভাবলে আবার মন খারাপ হয়ে যেতে পারে তাঁর। ‘অবোধ’ না এসেছে আলোচনায়, না ছিল একটুও ব্যবসাসফল। ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ ছবি দিয়েই মাধুরী দেখিয়ে দেন তাঁর চমক কত প্রকার ও কী কী হতে পারে! এরপর এক যুগ ধরে কেবল সাফল্যই ছিল ক্যারিয়ারে। এরই মধ্যে শ্রীরাম নেনের সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হয়ে তিনি এখন মাধুরী দীক্ষিত নেনে। দুই ছেলে রায়ান আর অরিনকে নিয়ে সংসারজীবনেও সফল বটে তিনি!
মাধুরীর ক্যারিয়ারের সফল বা ব্লকবাস্টার হিট ছবির নাম লিখতে গেলে বিশাল তালিকা হয়ে যাবে। এরই মধ্যে আলাদাভাবে ‘রাম লক্ষণ’, ‘পরিন্দা’, ‘দিল’, ‘সাজন’, ‘বেটা’, ‘খলনায়ক’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘দেবদাস’-এর মতো ছবিগুলোর নাম হয়তো তিনি নিজেই মনে করতে চাইবেন বারবার। ভারতীয় চলচ্চিত্রাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৮ সালে সম্মানসূচক পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
অভিনয় থেকে মোটামুটি সরে এলেও সময়ে সময়ে মাধুরীর ঝলক এখনো মেলে বটে বলিউডে। বিশাল ভরদ্বাজের ‘দেড় ইশকিয়া’ এবং অনুভব সিনহার ‘গুলাব গ্যাং’ ছবিতে শেষ দেখা গেছে তাঁকে। অভিনয়ে বোঝা গেছে, ধার এখনো কমেনি বৈকি মাধুরীর! এ ছাড়া টেলিভিশন রিয়্যালিটি শোতে বিচারকের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে, নিজের একটি অনলাইন নাচের স্কুলও চালিয়ে যাচ্ছেন এরই মধ্যে!
১৯৬৭ সালে মুম্বাইয়ে জন্ম মাধুরীর।