মুক্তি পেল নচিকেতা-মানিকের মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘নীল পরকীয়া’
মনের উঠোনে শিরায় মগজে বখাটে কালো ধোঁয়া/ ড্রইংয়ে সিলিংয়ে বিছানা বালিশে নীল পরকীয়া…এ রকম দারুণ কথা ও মুগ্ধতা ছড়ানো সুরের জীবন ঘনিষ্ঠ সঙ্গীত চিত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন ভারতের বাংলা গানের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের জীবনমুখী গানের কণ্ঠশিল্পী আমিরুল মোমেনীন মানিক। গানের শিরোনাম নীল পরকীয়া। সঙ্গীতায়োজন করেছেন পারভেজ জুয়েল। গানের গল্পনির্ভর সঙ্গীত চিত্র নির্মাণ করেছেন শাহরিয়ার পলক এবং তাঁর প্রোডাকশন হাউস প্রেক্ষাগৃহ মিউজিক ফ্যাক্টরি। কথা ও সুর সাজিয়েছেন আমিরুল মোমেনীন মানিক নিজেই। ‘মানিক মিউজিক’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে গানটি।
গানটি প্রসঙ্গে নচিকেতা চক্রবর্তী বলেন, বর্তমান সময়ে পরকীয়া একটি ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য সুখী ও সুন্দর পরিবার এই অবক্ষয়ের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে।
নচিকেতা আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয় পরকীয়ায় সংসার ভেঙ্গে দেওয়া আর একটি পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করা সমপরিমাণের অপরাধ। ভয়াবহ এই পরকীয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে আমি ও মানিক দু’জন মিলে গাইলাম ‘নীল পরকীয়া’। হৃদয়স্পর্শী কাহিনীকে সামনে রেখে নির্মাণ করা হয়েছে এর ভিডিও। আশাকরি, ‘নীল পরকীয়া ’ছড়িয়ে যাবে এবং এর মধ্য দিয়ে পরকীয়ার বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন তৈরি হবে।
‘নীল পরকীয়া’র ভিডিও নির্মাতা শাহরিয়ার পলক বলেন, ‘আমি অসংখ্য ভিডিও চিত্র নির্মাণ করেছি কিন্তু এই গানটি নির্মাণ করতে অন্য রকম প্রেরণা পেলাম। জীবনমুখী গানের স্থপতি নচিকেতা চক্রবর্তী এবং দারাজ কণ্ঠের আমিরুল মোমেনীন মানিক দুর্দান্ত গেয়েছেন। গানটি চমৎকার বলেই আমি এবং আমার টিম হৃদয়গ্রাহী একটি ভিডিও চিত্র নির্মাণের চেষ্টা করছি। এখন দর্শকদের ভালো লাগলেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে।’
নচিকেতা ও মানিক এর আগেও জুটি বেঁধে বেশ কটি গান করেছেন। ২০১৪ সালে দু’জনের কণ্ঠে ‘আয় ভোর’ শিরোনামের গান প্রকাশিত হলে দুই বাংলায় ব্যাপক সাড়া পড়ে। এরপর, মানিক নচিকেতার কথা ও সুরে ‘কলেজ লাইফ’ ও ‘তুমি কোন্ পার্টির লোক’ শিরোনামে আরও দুটি গান করেন।
গানের পাশাপাশি আমিরুল মোমেনীন মানিক সাহিত্য ও সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করেন। ইতোমধ্যে বেরিয়েছে ২১টি গ্রন্থ। তাঁর বেস্ট সেলার বইয়ের নাম ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় স্টুপিড শিক্ষক’। সাংবাদিকতায় মানিক পেয়েছেন ইউনেস্কো ক্লাব জার্নালিজম এ্যাওয়ার্ড। ইউটিউব জার্নালিজমের প্রথম ধারণা উপস্থাপন করে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন চেঞ্জ টিভি. প্রেস। বর্তমানে আমিরুল মোমেনীন মানিক হামদর্দ বাংলাদেশের পরিচালক (তথ্য ও গণসংযোগ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।