নেটফ্লিক্সে ‘খুফিয়া’ : বাঁধনে অভিভূত বন্যা মির্জা
আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত প্রথম হিন্দি ওয়েব ফিল্ম ‘খুফিয়া’ নেটফ্লিক্সে (রোববার) মুক্তি পাচ্ছে। মুক্তির পর থেকে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন বাঁধন।
ফিল্মটি দেখে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। বাঁধনের অভিনয়ের প্রশংসা করে ‘চোখের সামনে নটী হয়ে উঠলেন তিনি’ শিরোনামে একটি পোস্ট করেছেন বন্যা।
সেখানে বন্যা মির্জা লিখেন, একজন লাক্স ফটো সুন্দর, ভারী মেকআপ করে তিনি কেবল মাত্র সুন্দরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে যা শিখেছিলেন, তাই সম্বল করে বাংলাদেশের টেলিভিশন মিডিয়ার তারকা হয়েছেন। তার হয়ত জানা বোঝার দরকার হয়নি যে, অভিনেতা হতে হবে। অনেক ঝড় সামাল দিয়ে তিনি জেনেছেন, তারকা না অভিনেতা হতে হবে। তার জন্য নিজেকে একটু একটু করে তৈরি করেছেন।
অভিনয় শব্দটির ব্যাখ্যা করে বন্যা মির্জা লিখেন, অভিনয়ের সঙ্গে দক্ষতা শব্দটি আমরা বলেই থাকি। কিন্তু দক্ষতা আসলে কী? ভালো অভিনয় করতে পারা? ভালো অভিনয় কী? দেখলেই বোঝা যায় পরিশ্রম করেছেন? একেবারে ঘেমে-নেয়ে উঠেছেন? না, তা না। একমাত্র কাজ অভিনেতার তা হলো, নিজেকে ভুলে না গিয়ে তাকে পেছনে রেখে সামনে অন্য এক মানুষকে দাঁড় করানো! সেই মানুষের সত্য দেখানো। নিজেকে আর দর্শককে বিশ্বাস করানো যে, যাকে তিনি সামনে রাখছেন, এটা তারই জীবন! আর তা এতটাই সত্য যে, দর্শক একবারও চোখ ফেরাবেন না। কাজটা ভয়ানক দুরূহ! তাই কী করা যায়? যায়, আর ঠিক তাই, আমি দেখলাম কোনো এক হিনার জীবন; যার জীবন মোটেও বাঁধনের জীবন নয়।
বাঁধনের অভিনয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করে বন্যা মির্জা আরও লিখেন, আজমেরী হক বাঁধন তুমি করে দেখালে। আর আমরা দেখলাম যে, কীভাবে একজন নটীর জন্ম হয়! বাঁধন কানে গেছেন। দারুণ অভিনয় করেছেন। তবু আমি বাঁধনকেই দেখেছি। আমি হিন্দি সিনেমার ফ্যান না। বাঁধনের জন্যই দেখেছি। কিন্তু কোথাও আমি তাকে দেখিনি! হিনাকে দেখলাম। হিনার জীবন দেখলাম। ডায়লগ, গেসচার, এক্সপ্রেশন সব মিলে অনবদ্য। একজন অভিনেতার জীবনে এইটুকুই সত্য যে, সে হয়ে ওঠে অন্য আরেকজন! আমি অভিভূত!
গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে অমর ভূষণের বিখ্যাত উপন্যাস ‘এস্কেপ টু নো হোয়্যার’। এই উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এতে বাংলাদেশি মেয়ে হিনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন।
সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন টাবু, আশিষ বিদ্যার্থী, আলি ফজল, ওয়ামিকা গাব্বিসহ আরও অনেকে।