মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে হিমুকে
প্রয়াত ছোটপর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও গলার রশির দাগ আছে। ময়নাতদন্ত শেষে সত্যটা জানা যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। আজ শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে বাদ জুমা চ্যানেল আই চত্বরে হিমুর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা রওনক হাসান। জানাজা শেষে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। এরপর লক্ষ্মীপুরে মায়ের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
হিমুর মৃত্যুর প্রসঙ্গে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জ্যোতির্ময় সাহা গণমাধ্যমকে জানান, ফ্যানের হ্যাঙ্গারে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রুমে ঝুলছিল হোমায়রা হিমু। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিকভাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা জানা যায়নি। আমরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো যাবে।
হিমু ২০০৬ সালে ‘ছায়াবীথি’ নামের টেলিভিশন নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামে একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। এরপর বাড়ি বাড়ি সারি সারি, হাউজফুল ও গুলশান এভিনিউসহ অসংখ্য টিভি নাটকে দেখা গেছে হোমায়রা হিমুকে।
২০১১ সালে আমার বন্ধু রাশেদ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে হিমুর বড় পর্দায় অভিষেক হয়। চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং চলচ্চিত্রে তাঁর অসাধারণ অভিনয় সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিল।