‘নটী বিনোদিনী’ হচ্ছেন কঙ্গনা, পরিচালক প্রসেনজিৎ
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রসেনজিৎ থেকে ‘বুম্বাদা’ হয়ে উঠেছেন কলকাতার সিনেমার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া চিত্রনায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। টালিউডে দর্শক যখন সিনেমা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন, তখনই ভিন্নধর্মী সিনেমায় কাজ করে সিনেমা হলে দর্শক ফিরিয়েছেন বুম্বাদা। এবার অভিনয় নয় সিনেমা নির্মাণের এই খবর দিয়েছেন প্রসেনজিৎ।
অভিনেতার পরিচালনায় নির্মাণ হতে যাচ্ছে ‘নটী বিনোদিনী’। আর এতে মুখ্য চরিত্রে থাকছেন বলিউডের কঙ্গনা রানাউত! ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে এমনই খবর।
এক রেস্তরাঁ ব্যবসায়ীর প্রযোজনায় হিন্দি ভাষায় নির্মিতব্য এই বায়োপিক পরিচালনা করতে চলেছেন প্রসেনজিৎ। সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার জানিয়েছে, সিনেমাটিতে আপাতত তিনি অভিনয় করছেন না, পরিচালনাতেই শুধু মন দিচ্ছেন।
সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে বিনোদিনী দাসীর জীবনী অবলম্বনে। ১৮৬২ সালে এক পতিতাপল্লিতে জন্ম তাঁর। মাত্র ১২ বছর বয়সে বাংলা থিয়েটারের জগতে পা দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় রঙ্গমঞ্চে মেয়েদের কাজ করার তেমন চল ছিল না। মাত্র ১১ বছরের ক্যারিয়ারে বাংলা থিয়েটারের আত্মার উত্তরণ ঘটিয়েছিলেন নটী বিনোদিনী। দাপিয়ে অভিনয় করার পর মঞ্চকে মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিদায় জানান তিনি। এমন চরিত্রকে বড়পর্দায় তুলে ধরার স্বপ্ন ছিল পরিচালক প্রদীপ সরকারের। তাঁর পরিচালনাতেই কঙ্গনার বিনোদিনী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রয়াত হন এই বাঙালি পরিচালক। তাতেই ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতিতে প্রদীপ সরকারের অসম্পূর্ণ কাজের দায়িত্বই কি প্রসেনজিৎ নিজের কাঁধে নিয়েছেন? নাকি তিনি সম্পূর্ণ আলাদাভাবে বায়োপিকটি করতে চলেছেন? আদৌ কি বাংলার সুপারস্টারের পরিচালনায় কঙ্গনা বিনোদিনী হচ্ছেন? প্রশ্ন একাধিক। উত্তর হয়তো অদূর ভবিষ্যতেই জানা যাবে।
প্রসেনজিৎ এর সিনেমা পরিচালনা এটা প্রথম নয়, এটি তৃতীয় নির্মাণ। এর আগে ১৯৯২ সালে ‘পুরুষোত্তম’ নামে একটি সিনেমা পরিচালনা করেছিলেন প্রসেনজিৎ। সেখানে নায়িকা হয়েছিলেন এই অভিনেতার প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। আর নায়ক হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ নিজেই। এরপরের পরিচালনা ১৯৯৮ সালে। ‘আমি সেই মেয়ে’ নামের ওই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন জয়া প্রদা। আর প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা, রঞ্জিত মল্লিক, প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বিভিন্ন ভূমিকায়।