বাচ্চাদের ছবি তোলা নিয়ে কতটা কঠোর বলিউড নায়িকারা?
বলিউডের ছবি তোলার কালচার এখন আর কারও অজানা নয়। এজন্য মুম্বাইতে দিন-রাত একাধিক ফটোগ্রাফার মোতায়েন থাকেন। লুকিয়ে ডিনার ডেট হোক কিংবা এয়ারপোর্ট দিয়ে ঘুরতে যাওয়া, নিমিষেই সে সব ক্যামেরাবন্দি হয়ে চলে আসে নেটিজেনদের সামনে। আর তারকা সন্তানদের ছবি তোলা নিয়ে তো আরেক ঝামেলা। আনুশকা-বিরাট বা রানি-আদিত্য হোক অনেক মা-বাবাই চান না তাঁদের সন্তানদের ছবি তুলুক এই ফটোগ্রাফাররা। আর তারপর ছড়িয়ে দিক ইন্টারনেটে। শুনলে অবাক হবেন, এদের মধ্যে কিছু তারকা এই বিষয়ে সতর্ক করে ফটোগ্রাফারদের রীতিমতো ধমকেও রেখেছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
এ বিষয়ে জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার ভারিন্দর চাওলা ইউটিউব চ্যানেল হিন্দি রাশের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেন, এই তারকারা তাঁদের সন্তানদের ফোটো তোলা আটকাতে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি জানান, ‘রানি মুখার্জি আমাদের রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন। জানিয়ে রেখেছেন, আমরা নিজের গণ্ডির বাইরে বের হলে তিনি আমাদের নামে মামলা করবেন।’
জানালেন ভরিন্দর জানান, ‘সেদিক থেকে আনুশকা শর্মা ও বিরাট কোহলির অনুরোধ করার ধরণ একেবারেই আলাদা। ওঁরা নিজেদের সন্তানদের ছবি না তোলার জন্য অনুরোধ করেছেন সকলকে। আর কিছুদিন আগে তো তাঁদের কথা রাখার জন্য আমাদেরকে উপহারও পাঠিয়েছেন। আমরাও বুঝি সীমা অতিক্রম করা ঠিক না। আর এই বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল হওয়ার চেষ্টা করি।’
প্রসঙ্গত, মেয়ে রাহার জন্মের পর রীতিমতো অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন আলিয়া ভাট। যখন তাঁর মেয়ের ছবি পেতে কিছু ফটোগ্রাফার তাঁর বাড়ির উল্টোদিকের কোনো ফাঁকা বিল্ডিংয়ে উঠে লুকিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করে। সেই সময় মেয়েকে নিয়ে একাই ছিলেন আলিয়া। রেগে যান তিনি। ব্যাপারটা সামনে আনেন রাহার মা। বহু তারকা প্রতিবাদস্বরূপ খুলেছিলেন মুখ।
সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ভরিন্দর জানালেন, ‘সেই ঘটনার পর প্রায় ১০০ জন ফটোগ্রাফারকে নিজেদের বাড়িতে ডেকেছিলেন রণবীর-আলিয়া। তাঁরা সকলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সঠিক সময়ে তাঁরা অবশ্যই মেয়েকে নিয়ে আমাদের ক্যামেরার সামনে পোজ দেবেন। আর সে কথা বজায় রেখে রাহাকে সামনে আনেন গত বছর ক্রিসমাসে। তারপর থেকে একাধিক অনুষ্ঠানে মেয়ের ছবি তুলতে দিয়েছেন রণবীর-আলিয়া’।
কফি উইথ করণ-এর শেষ সিজনে এসে রানি মুখার্জিকে বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁর প্রযোজক স্বামী আদিত্য চোপড়া কতটা কঠোর মেয়ে আদিরার ছবি না তোলা নিয়ে। এমনকী, তিনি এই ব্যাপারে বেশ শক্ত মনোভাব রাখেন পাপারাজ্জিদের দিকে। এয়ারপোর্টে যতক্ষণ না আদিরা ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে, কোনো ফটোগ্রাফারের অনুমতি থাকে না তাঁর ছবি তোলার। মেনে নেন, এক সময় ফটোগ্রাফাররা তাঁকে বেশ ভয়ই পেতেন।