সোনালি দিনের চিত্রনায়িকা সুনেত্রা আর নেই
আশি-নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সুনেত্রা কুমার আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। ঢাকাই চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠা পেলেও ছিলেন কলকাতার মেয়ে। সেখানেই অভিনয় করতেন মঞ্চে। পরে গুণী নির্মাতা মমতাজ আলী তাকে এ দেশের চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন। তার প্রথম সিনেমা ছিল ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘উসিলা’। এই সিনেমায় সুনেত্রার বিপরীতে ছিলেন তখনকার হার্টথ্রব নায়ক জাফর ইকবাল।
১৯৯০ সালে মুক্তি পাওয়া দেলোয়ার ঝাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘পালকী’ সিনেমাটি তাকে দিয়েছিল অন্যরকম জনপ্রিয়তা। সিনেমাটিতে তাকে দেখা গিয়েছিল গ্রামীণ গল্পের নন্দিত নায়ক ফারুকের বিপরীতে। একাই ছিলেন মা ও মেয়ের দ্বৈত চরিত্রে।
দেড় মাস আগে গত ২০ এপ্রিল কলকাতায় মারা যান সুনেত্রা। অথচ এতদিনে সে খবর কেউ জানতেও পারেনি। অবশেষে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। শুক্রবার (১৪ জুন) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা, শৈশবের আমার পছন্দের একজন নায়িকা, চোখের প্রেমে পড়তো যে কেউ, তিনি সুনেত্রা। অনেকদিন বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতায়। আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন বেশ কয়েকবার ফোনে কথা বলেছিলাম। আজ হঠাৎ শুনলাম তিনি আর নেই, মৃত্যুবরণ করেছেন। নীরবে নিভৃত্বে চলে গেলেন। এভাবেই হারিয়ে যায় মানুষ, চলে যায়। আপনি ভালো থাকবেন ওপারে। অনেক চলচ্চিত্র দেখবো আর আপনাকে মিস করবো।’
এই চিত্রনায়িকা ফারুক, সোহেল রানা, আলমগীর, ওয়াসিম, ইলিয়াস কাঞ্চন, জাফর ইকবাল, নাদিম (পাকিস্তান), মান্নাদের বিপরীতে অভিনয় করে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা।
সুনেত্রা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো- পালকি, উসিলা, বোনের মতো বোন, ভাবীর সংসার, সাধনা, রাজা মিস্ত্রি, যোগাযোগ, সুখের স্বপ্ন, আলাল দুলাল, শুকতারা, সহধর্মিনী, কুচবরণ কন্যা, বন্ধু আমার, শিমুল পারুল, ভাই আমার ভাই, লায়লা আমার লায়লা, দু:খিনি মা, বিধান, নাচে নাগিন, ভুল বিচার, সর্পরানি, বিক্রম, বাদশা ভাই, রাজা জনি, আমার সংসার ও ঘর ভাঙা ঘর। এর বাইরে কলকাতার সিঁথির সিঁধুর, মনসা কন্যা ও দানব সিনেমায় কাজ করেছেন এই নায়িকা।