জেনারেশন জেডকে টার্গেট করে যে গল্প...
উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে জেনারেশন জেডকে টার্গেট করে নানান ধরনের ফিল্ম, টেলিভিশন ও ডিজিটাল কন্টেন্ট বানানো হলেও বাংলাদেশে তা কখনও করা হয়নি। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত যাদের জন্ম হয়েছে, অর্থাৎ বর্তমানে যাদের বয়স ১৪- ২৭, তাদেরকে জেনারেশন জেড বলা হয়ে থাকে। সারা পৃথিবীতেই এই জেনারেশনকে বর্তমান পৃথিবীর সব থেকে টেকনলজিকালি এডভান্সড জেনারেশন বলা হয়ে থাকে। এরা খুব দ্রুত নতুন জিনিসের সাথে মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত জেনারেশন। এমনকি এরা রিলেশনশিপের মত আবেগি বিষয়েও পূর্ববর্তী জেনারেশনগুলোর মানুষদের মত এত সংবেদনশীল নয়। প্রচলিত প্রেম ও কমেডি নাটকের বাইরে যেয়ে শুধুমাত্র জেনারেশন জেডকে টার্গেট করেই শেখ নাজমুল হুদা ঈমন এবার নির্মাণ করেছেন ‘ভ্যানিশিং ম্যান’ শিরোনামের একটি নাটক।
পরিচালকের দাবি, এই নাটকটি আরও একটি কারনে ইতিহাস হয়ে থাকবে। কারণ ভ্যানিশিং ম্যান নাটকটিই বাংলাদেশের প্রথম ডার্ক কমেডি জনরার নাটক। জেনারেশন জেড যে এই ডার্ক কমেডি জনরার গল্পটি পছন্দ করবেন সে ব্যাপারে তিনি বরাবরই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
নির্মাতা জানান, যাদেরকে টার্গেট করে এই নাটকটি বানানো, অর্থাৎ জেনারেশন জেড এর অন্তত পাঁচ শতাধিক দর্শক ইতিমধ্যেই নির্মাতাকে মেসেজ দিয়ে এই নাটকের পার্ট ২ বানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। মাত্র ৩ দিনে ৩ মিলিয়ন প্লাস ভিউ পাওয়া অবশ্য প্রমান করে সব শ্রেণির দর্শকই নাটকটি ব্যাপকভাবে দেখছেন। নির্মাতা শেখ নাজমুল হুদা ঈমন অবশ্য দর্শকদের জন্য একটি পরামর্শ দিয়েছেন। যেহেতু নাটকটি ডার্ক কমেডিতে ভরপুর, তাই নাটকটি পরিবারের সবার সাথে দেখার বদলে বন্ধুদের সাথে মিলে দেখলেই বরং দর্শক বেশি আনন্দ পাবেন।
জিয়াউল হক পলাশ বলেন, আমি আমার টিমের বাইরে যেসব কাজের অফার পাই সেগুলো না করার প্রধান কারণ হচ্ছে, তারা সবাই ব্যাচেলর পয়েন্টের কাবিলা চরিত্রের নানান ভার্সন নিয়ে আমার সামনে হাজির হন। কেউই ভিন্ন কোন চরিত্র এবং গল্প নিয়ে আমার কাছে আসেন না। ভ্যানিশিং ম্যান এর বিশ্ব চরিত্রটি এমন একটি চরিত্র, যে চরিত্রের কোন একটি অংশের সাথেই কাবিলা চরিত্রের কোন মিল নেই। গল্প শুনেই কাজটি করতে রাজি হই।
নাটকটি নির্মাণের পাশাপাশি নাটকটির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন নাজমুল হুদা ঈমন। তিনি বলেন, নাটকটি সফল হওয়ার পিছনে একটি গোছানো টিম ওয়ার্ক খুব কার্যকরী ভুমিকা পালন করেছে। নাটকটির নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন খান মোহাম্মাদ বদরুদ্দিন।
পলাশ ছাড়া এখানে আরও অভিনয় করেছেন সাফা কবির, আরফান মৃধা শিবলু, শেগুফতা আহমেদ জারবিনী, ফারজাদ জুলফিকার, জান্নাত আফরিন প্রমুখ। নাটকটির নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন খান মোহাম্মাদ বদরুদ্দিন। আকবর হায়দার মুন্না প্রযোজিত এই নাটকটি দেখা যাচ্ছে ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে।