জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩ : আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ জুলাই
চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩ এর জন্য প্রযোজকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ১২ শর্তে ২৮টি বিভাগে আবেদনপত্র আগামী ৩১ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এটি প্রকাশিত হয়েছে ২১ জুন।
মোট ২৮টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে। এগুলো হলো আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী, শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শিল্পী নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা, শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান।
সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজকরা পুরস্কারের জন্য ছবি ও আবেদনপত্র জমার জন্য বেশকিছু শর্ত মানতে হবে। এগুলো হলো
• কেবলমাত্র বাংলাদেশি নাগরিকগণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন
• আজীবন সম্মাননা পুরস্কারের জন্য জীবিত ব্যক্তিদেরকে বিবেচনা করা হবে
• যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী এবং কলা-কুশলীগণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না
• জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্রপ্রাপ্ত এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কেনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, তবে তা ২০২৩ সালে সেন্সর সনদপত্র প্রাপ্ত হতে হবে
• পুরস্কারযোগ্য প্রতিটি শাখায় গুণগত ও শৈল্পিক মানে শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হবে
• দেশিয় প্রেক্ষাপট, পরিচালকের মৌলিকত্ব ও সৃজনশীলতার স্বাক্ষর বহনকারী চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে
• জুরি বোর্ডের বিবেচনার জন্য প্রতিটি নৃত্যের জন্য পৃথকভাবে নৃত্য পরিচালকের নাম উল্লেখ করতে হবে। একইভাবে প্রতিটি গানের (পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন) জন্য পৃথকভাবে গায়ক, গায়িকা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালকের নাম উল্লেখ করতে হবে
• কাহিনির ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি লেখক/প্রকাশকের অনুমতি (কপিরাইট) নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে
• বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রিমেক (Remake) চলচ্চিত্রের কাহিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না
• জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য অংশগ্রহণকারী কোনো চলচ্চিত্র সেন্সরবিহীন কেনো দৃশ্য সংসোজন এবং সেন্সরকৃত কেনো অংশ বিয়োজন করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হলে চলচ্চিত্রটি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না
• সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের প্রধান প্রধান দৃশ্য/সংলাপ সংবলিত বিষয়বস্তুর ওপর ৫ মিনিটের (কম/বেশি) একটি পেনড্রাইভ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জমাকৃত চলচ্চিত্রের সাথে জমা দিতে হবে
• সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের প্রযোজক কর্তৃক যে সকল শিল্পী ও কলাকুশলীকে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাদের নাম চলচ্চিত্রের টাইটেলে উল্লেখ থাকতে হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদেরকে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম/ছক বিনামূল্যে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনের ফরম সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bfcb.gov.bd থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে।
প্রত্যেক আবেদনপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের যথাযথ মানসম্পন্ন পেনড্রাইভ জমা দিতে হবে। কোনো পেনড্রাইভ মানসম্মত না হলে, তা বিবেচনা না করার ক্ষমতা জুরি বোর্ড সংরক্ষণ করবে।
পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত শিল্পী/কলাকুশলী/ব্যক্তিদের ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (প্রযোজক কর্তৃক সত্যায়িত), জীবন-বৃত্তান্ত (বাংলা), জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি/পাসপোর্টের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)/শিশু শিল্পীদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি (১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত) আবেদনের সাথে অবশ্যই জমা দিতে হবে। যাদের অনুকূলে জীবন-বৃত্তান্ত (বাংলা), জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দেয়া হবে না, তাদের আবেদন জুরি বোর্ড কর্তৃক বিবেচিত হবে না।
আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ৩১ জুলাই বিকাল ৫টা। পুরস্কার সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয়ে জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।