আমাকে পুঁজি করে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছেন : শাবনূর
একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। দীর্ঘদিন ধরেই পর্দার বাইরে রয়েছেন তিনি। তবে অভিনয়ে নিয়মিত না হলেও তাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের।
তবে মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ধরা দেন তিনি। তাতে অন্য সবার মতোই নিজের ভালো লাগা-মন্দ লাগার কথাগুলো শেয়ার করেন। এ নিয়ে অবশ্য কখনো বিতর্কে পড়তে হয়নি তাকে। কিন্তু এবার যেন বিতর্কের মুখে পড়লেন এ নায়িকা।
গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ফেসবুকে নতুন রূপে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের সামনে হাজির হন শাবনূর। সেখানে কিছুটা খোলামেলা পোশাকেই ধরা দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তার মুটিয়ে যাওয়াও ফুটে উঠেছে। যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তার অনুরাগীরা।
এ কারণেই গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ফেসবুকে ‘সবার উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে চাই’ শিরোনামে দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন শাবনূর।
এদিন এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘অনেকে হয় তো জানেন যে, আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া নিজের মতো করে হ্যান্ডেল করি এবং কোনো অ্যাডমিনও নিয়োগ দেইনি। আমার যখন যেটা ভালো লাগে, নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ বা বিশেষ কোনো আনন্দ-বেদনার বিষয় থাকলে তা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত রয়েছি। যে ছবি বা ভিডিও পোস্ট করি সেগুলো নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এমনকি কেউ কেউ আমার ড্রেসআপ নিয়েও উদ্ভট প্রশ্ন তুলেন। অস্ট্রেলিয়াতে আমি সচরাচর ক্যাজুয়াল ড্রেস পরতেই অভ্যস্ত এবং এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আর কে কী পরবে সেটাতো তার ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার, তাই না?’
তিনি লিখেছেন, ‘যদি আমার শেয়ারকৃত কোনো কিছু কারো ভালো না লাগে, তবে শালীনতার সঙ্গে গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু রিপিটেডলি আজেবাজে মন্তব্য যেন না করেন, তা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে বিনীত অনুরোধ করছি। আর একান্তই যদি আমার অ্যাক্টিভিটিস কারো পছন্দ না হয়, তবে আমাকে ফলো না করলেই পারেন।’
এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘যারা আমার ওয়ালে এসে বিরূপ মন্তব্য করেন, তারা আবার দেখি আমার নামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলে, পেজ চালিয়ে, আমার পোষ্ট করা ছবি-ভিডিও নিয়ে আবার ব্যবসা করেন। আমাকে পুঁজি করে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছেন, রমরমা ব্যবসা করছেন, তা করেন; কিন্তু আমার এখানে এসে ভন্ডামী করছেন কেন? কেনই-বা সংঘবদ্ধ হয়ে খারাপ মন্তব্য করে যাচ্ছেন? এদের আবার কেউ কেউ আমাকে আড়ালে চলে যেতে বলেন, হা হা হা...। এই ডিজিটাল যুগে এসেও মানুষ এসব জ্ঞান দেয়। আমি আড়ালে চলে যাব না প্রকাশ্যে থাকব, তা আমি বুঝব।’
সবশেষ শাবনূর লিখেছেন, ‘অন্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, আচার-ব্যবহার, কথা বলার ভাষা―এসব ব্যাপারগুলো আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক শিক্ষার পরিচয় বহন করে। মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমরা যেন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই। সবাই ভালো থাকবেন।’