মুসকানের পাশের ব্যক্তি তাঁর বাবা নন
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে গেরুয়া উত্তরীয় পরিহিত মিছিলকারী তরুণদের সামনে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মুসকান খানের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর মাথায় হাত রাখা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিটি তাঁর বাবা নন।
অথচ ফেসবুক ও ইউটিউবসহ অনলাইনে অনেকেই এমন একটি ছবি শেয়ার করে ওই ব্যক্তিকে মুসকানের বাবা হিসেবে দাবি করছেন।
এনটিভি ফ্যাক্টচেকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে—ছবিটির বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হায়দরাবাদের জিলানী নামের একজন।
‘মুসকান ও তাঁর বাবা’—এমন অথবা এ ধরনের বিভিন্ন ক্যাপশনে ছবিটি ছড়ানো হয়েছে। এমন কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে। ইউটিউবের কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে। বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকেই ইউটিউবের এসব ভিডিওর থাম্বনেইলে দেখা যাচ্ছে।
গত বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ‘এ১৮ তেলেঙ্গানা নিউজ’ নামের এক ফেসবুক পেজে একটি ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে হায়দরাবাদ থেকে মুসকানকে তাঁর বাড়িতে অভিবাদন জানাতে আসা ‘জিলানি ভাই’ হিসেবে হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায় জিলানি নামের ব্যক্তি মুসকানের পাশে থাকা তাঁর বাবাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন।
এর কিছুক্ষণ আগে বুধবার বেলা ২টা ৪১ মিনিটে মুসাইব কিং কিং নামের এক ব্যক্তি মুসকানের বাবা উল্লেখ করে তাঁর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন। ভিডিওতে মুসকানের বাড়িতে থাকা এবং ছবিতে মুসাইব নামের ব্যক্তির সঙ্গে দাঁড়ানো ব্যক্তির চেহারার মিল রয়েছে।
এ ছাড়া ‘নিউজ১৮ উর্দু’ সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে মুসকানের ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। সেখানে একেবারে ডানে মুসকানের বাবাকে দেখা যায়।
এ ছাড়া ‘আফসার মায়সুরি’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে মুসকান ও তাঁর বাবার সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয়। সেখানে বলা হয়, মুসকানের বাবার নাম হোসেইন খান।
গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কর্নাটক রাজ্যের মান্ডি প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে হিজাববিরোধীদের মিছিল-বাধা উপেক্ষা করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে কলেজে যান বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী মুসকান খান। সেখানে মিছিলকারীদের সামনে একাই ‘আল্লাহু আকবর’ বলে প্রতিবাদ করেন তিনি। এ ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।