অ্যালকোহল ও ধূমপানে কি স্লিপ অ্যাপনিয়া হয়
অনেকেই অভিযোগ করেন, তাঁর ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। মেডিকেলের ভাষায় একে স্লিপ অ্যাপনিয়া বলে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, স্লিপ অ্যাপনিয়া হলে কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে কথা বলেছেন বসুন্ধরা আদদ্বীন মেডিকেল কলেজে নাক-কান ও গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
স্লিপ অ্যাপনিয়া হলে কী কী পরীক্ষা করা দরকার, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, একটা গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষা আছে। সেটাকে বলা হয় ওভারনাইট পলিসমনোগ্রাফি। সারা রাত ঘুমাবে এবং তার শ্বাস বন্ধ হয়েছে কি না, বন্ধ হলে তার সিভিয়ারিটি কতটুকু—মাইল্ড, মডারেট না কি সিভিয়ার, এর মাধ্যমে আমরা ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকি। এটাকে স্লিপ স্টাডি বলা হয়।
এটি করেই কি আসলে নিশ্চিত হওয়া যায়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, স্লিপ স্টাডি করলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে যে সে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভুগছে কি ভুগছে না।
এ ক্ষেত্রে খরচ কেমন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের দেশে সব হাসপাতালে স্লিপ স্টাডি হয় না। খরচ হসপিটাল টু হসপিটাল ভ্যারি করে। কোনও হসপিটালে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, কোনও হসপিটালে আরেকটু বেশি, কোনও হসপিটালে আরেকটু কম লাগে।
আর কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয় কি না, একটা তো গোল্ডেন স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষায় বুঝলাম যে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভুগছে। তখন আমরা কারণ খোঁজার জন্য এক্সরে, সিটি স্ক্যান, ডায়নামিক এমআরআই এবং ব্লাডের অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা তার ট্রিটমেন্ট শুরু করে দিই।
সে ক্ষেত্রে কী কী ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি রয়েছে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, একটা পদ্ধতি হলো যে মেডিকেল ট্রিটমেন্ট। আরেকটা হলো সার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট, যেটাকে অপারেশন বলা হয়। যখনই আমরা বুঝলাম যে রোগী অনেক মোটা, তাহলে তাকে লাইফস্টাইল মোডিফিকেশন করতে হবে। লাইফস্টাইল মোডিফিকেশন মানে তার ওজন কমাতে হবে। ওজন কমানোর যত পদ্ধতি আছে, সেগুলো সে অ্যাপ্লাই করবে। অ্যাপ্লাই করে সে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনবে। আরেকটা হচ্ছে, ঘুমের আগে সে লার্জ মিল নেবে না, অনেক বেশি খাবে না। অন্তত ঘুমের দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেবে। অ্যালকোহল বা মদ সেবন করা যাবে না। মদ কিন্তু স্লিপ অ্যাপনিয়া তৈরি করে। স্মোকিংও অ্যাভয়েড করতে হবে এবং ঘুমের ট্যাবলেট অ্যাভয়েড করতে হবে। কারণ, যারা স্লিপ অ্যাপনিয়ার ক্যান্ডিডেট, তারা যদি ঘুমের ওষুধ নেয়, তাহলে রোগী রাতের বেলা ঘুমন্ত অবস্থায় এক্সপায়ার করতে পারে।
স্লিপ অ্যাপনিয়া নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।