আইভিএফ পদ্ধতিতে কি সন্তান নিতে চান
অনেকেই বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগছেন। নারী ও পুরুষ উভয়েই এ সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত হাজির হচ্ছেন ডাক্তারের কাছে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান জন্মদান সম্পর্কে জানব। সেই সঙ্গে জানব এর শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা সম্পর্কে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে আইভিএফ বা টেস্টটিউব বেবি সম্পর্কে কথা বলেছেন দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার অ্যান্ড কাউন্সেলিং সেন্টারের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিবাস চন্দ্র পাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
আইভিএফ যে করা হচ্ছে, আইভিএফের জটিলতাগুলো আসলে কী কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নিবাস চন্দ্র পাল বলেন, আইভিএফের জটিলতায় প্রথম যেটা আমাদের মাথায় রাখতে হয়, সেটা হলো সাইকোলজিক্যাল স্ট্রেস। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ফিমেল পার্টনারের। এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে এবং কাজ করতে গিয়ে প্রথমেই একটু ওই বিষয়টা কাউন্সেলিং করতে হবে যে তোমারটা নেগেটিভও হতে পারে।
প্রথাগতভাবে কিন্তু মেয়েদের ওপর সেই প্রেশারটা আসে বা দুশ্চিন্তাটা থাকে বেশি, সঞ্চালকের এ কথার জবাবে ডা. নিবাস চন্দ্র পাল বলেন, হ্যাঁ। এর জন্য মেয়েদের দুশ্চিন্তা বেশি। সে মনে করে, তার কারণেই হয়তো সাকসেসটা আসেনি। এখানে সাকসেস না আসার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু সে ধরে নেই তার কারণে আসছে না। এটা একটা বিরাট বিষয়। আর আমরা যখন ওভারিয়ান স্টিমুলেশন করি, তাকে ডিম আসার জন্য স্টিমুলেশন দিয়ে থাকি, তখন হাইপার স্টিমুলেশন বলতে একটা সমস্যা তৈরি হয়। ওভারিয়ান হাইপার স্টিমুলেশন সিনড্রোম (ওএইচএসএস)। এই ওভারিয়ান হাইপার স্টিমুলেশন একটা জটিলতা, যেটা আগে খুব বেশি ফেস করতে হতো। এখন আর এতটা ফেস করি না। কারণ, বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট এসেছে, প্রোটোকল এসেছে। স্টিমুলেশন দেওয়ার জন্য ভালো ভালো প্রোটোকল এসেছে। এই কারণে সমস্যাটা এখন কম হয়। ওভারিয়ান হাইপার স্টিমুলেশন সিনড্রোম, এটা খুব মারাত্মক জটিলতা।
ওএইচএসএস আসলে কী এবং এটা প্রিভেন্টেবল কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নিবাস চন্দ্র পাল বলেন, ওএইচএসএস হলো ওভারিয়ান হাইপার স্টিমুলেশন সিনড্রোম। মানে ডিম আসার জন্য তাকে যে সুপার ওভ্যুলেশন করতে গেলাম, সুপার ওভ্যুলেশন করার কারণ হলো ওভারি যাতে বেশি পরিমাণে ডিম রিলিজ করে। স্টিমুলেশনের উদ্দেশ্য তো ভালো। কিন্তু এমন হতে পারে এর বিপরীতে কাজ হচ্ছে। মানে তার ফলিকল এক্সাইটেড হয়ে গেল। বেশি বেশি ফলিকল চলে এলো। প্রতি ওভারিতে ১০-১৫টা ফলিকল ম্যাচিউর হওয়ার শুরু করল। ওভারিয়ান সাইজ বড় হওয়া শুরু হলো। এর ফলে তার পেটে পানি জমা শুরু হয়। তার হেডেক শুরু হয়। সাডেন ওয়েট গেইন করে। এটা খুব বিপজ্জনক। বুকে পানি চলে আসে। পেটে পানি চলে আসে। প্রেশার বেড়ে যায়। এমনকি তার কিডনি ফেইলিউরের মতো অবস্থা হতে পারে। তবে এগুলো আমরা এখন আর অতটা ফেস করি না।
আইভিএফ সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।