আঙুরের যত পুষ্টিগুণ
আঙুর অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল। সবার খুব প্রিয়। সারা বছর আমাদের দেশে পাওয়া যায়। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে আঙুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানব।
এনিটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে আঙুরের পুষ্টিগুণ বর্ণনা করেছেন পুষ্টিবিদ ফারাহ দীবা। তিনি বলেন, আঙুরের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। আঙুরে অনেক কম ক্যালোরি পাওয়া যায়। আমরা মনে করি, এটি মিষ্টি বলে হয়তো অনেক বেশি ক্যালোরি। আসলে তা নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম আঙুরে আমরা মাত্র ৩২ কিলোক্যালোরি পাই। তবে এর জিআই ইনডেক্স একটু বেশি। এটি আমাদের শরীরের ডাইজেশনের প্রথম ধাপেই অ্যাবজর্বড হয়ে যায়। তাই আমাদের রক্তের মধ্যে চিনির মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়।
পুষ্টিবিদ ফারাহ দীবা বলেন, অসুস্থতার কারণে যাঁদের ডাইজেশনে সমস্যা, যেমন—জ্বরে আমাদের ডাইজেশন সিস্টেমটা অনেক দুর্বল হয়ে যায়, তখন কিন্তু তাঁদের আঙুরের রস কিংবা আঙুর দিলে তাঁরা খুব সহজেই ক্যালোরি ও শক্তি পাবেন। তাঁদের শরীরে তখন প্রচুর এনার্জির দরকার হয়। আর এমনিতেও অনেক রোগী আছেন, যাঁরা মুখে খেতে পারেন না, শরীরে ফুড ইনটেক কম হচ্ছে, ক্যালোরি ইনটেক কম হচ্ছে, তখন আঙুরের মাধ্যমে আমরা এই অভাব পূরণ করতে পারি।
পুষ্টিবিদ ফারাহ দীবা আরও বলেন, আঙুরে সাত শতাংশ কার্বোহাইড্রেট আছে আর ৯২ শতাংশই জলীয় অংশ। এর মধ্যে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন সি রয়েছে। সাধারণত ভিটামিন সি আলো, তাপ ও বাতাসে নষ্ট হয়ে যায়। একটু নাড়াচাড়াতেও কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যদি আমরা খাই, তাহলে তার সম্পূর্ণটাই পেয়ে যেতে পারি। এ ছাড়া আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডিসপেপসিয়া, হার্ট ডিজিজ, মাইগ্রেন, কিডনি ট্রাবল—এগুলোতে খুব ভালো উপকার করে।