ওজন ও কোলেস্টেরল কমাতে পান করুন গ্রিন টি
গ্রিন টির উপকারিতা আমরা এখন অনেকেই জানি। এখন অনেকে ব্ল্যাক টি কিংবা দুধ চায়ের বদলে গ্রিন টি খাওয়া শুরু করেছেন। ওজন কমানোর জন্যও অনেকে গ্রিন টি খেয়ে থাকেন। আজ আমরা গ্রিন টির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানব একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে গ্রিন টির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না। তিনি বলেন, গ্রিন টি-তে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যে কারণে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গ্রিন টি ভালো। গ্রিন টি-তে পলিফেনল, ফ্ল্যাবোনয়েড, অ্যামিনো অ্যাসিড, থিয়ানিন, ক্যাটেকাইনসহ ভিটামিন বি২, সি, কে এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে, যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না বলেন, ব্ল্যাক টি যেটা রয়েছে, সেটাকে বিভিন্ন প্রসেস করে তৈরি করা হয় বলে দেখা যায় অনেক পুষ্টি উপাদানই এটা থেকে বাদ পড়ে যায়। কিন্তু গ্রিন টি-তে কোনও ধরনের প্রসেস করা হয় না, সরাসরি র থেকে চা তৈরি করা হয়, যে কারণে এটাতে পুষ্টি উপাদান ব্ল্যাক টির তুলনায় অনেক বেশি। আপনার খাবার তালিকায় যদি আপনি প্রতিদিন দুই বেলা করে গ্রিন টি রাখতে পারেন, সেটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে যে সময়টাতে আপনি ব্ল্যাক টি বা দুধ চা খেতেন, সে জায়গাটায় গ্রিন টি দিয়ে আপনি রিপ্লেস করতে পারেন। গ্রিন টি-তে পলিফেনল রয়েছে। পলিফেনল আপনার মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং মেটাবলিজম বাড়ার কারণে খুব সহজে আপনার ওজন কমে। দেখা যায় অনেকের ওজন কমানোর সময় খিদে লাগে, একটু পর পর খিদে লাগার প্রবণতা থাকে। তখন আমরা তাঁদের গ্রিন টি খেতে বলি। এতে তাঁদের পেটটা একটু ভরা লাগে এবং বার বার খিদে লাগার যে প্রবণতা, সেটা কমে যায়। খুব সহজেই এতে ওজন কমে যায় এবং চর্বি কাটাতে সাহায্য করে।
এ পুষ্টিবিদ আরও বলেন, গ্রিন টি ব্লাড গ্লুকোজের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে। যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি, তাঁরা যদি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনি খাবার তালিকায় গ্রিন টি রাখতে পারেন। গ্রিন টি-তে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যেটা আপনার ক্যানসার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে এবং এর পাশাপাশি এতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ও থিয়ানিন ডিপ্রেশন কমাতে সহায়তা করে।