কলা কখন খাবেন, কোন বয়সে কতটুকু খাবেন
ছোট-বড় সবার প্রিয় কলা। কলা এমন একটি ফল, যেটি বারো মাসই পাওয়া যায়। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলেছেন পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান।
পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান বলেন, কলার পুষ্টিগুণ জানাটা খুব জরুরি। কারণ, কলায় ওজন বেড়ে যায়, কলা কখন খাব—এ ধরনের চিন্তা মাথায় এনে ডায়েট থেকে কলা বাদ দেন অনেকে। তাই জানা জরুরি, কলা কখন খেতে হবে, কখন এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কখন খেলে স্বাস্থ্যের জন্য অপকারী এবং কোন বয়সে কতটুকু কলা খাওয়া দরকার। কারণ, কলার সাইজ অনুযায়ী ডিপেন্ড করবে এটা থেকে কতটুকু পুষ্টি আসছে এবং এটার যে ফ্যাটের পরিমাণ ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ, সেটা কতটুকু। তাই বিভিন্ন বয়সিদের জন্য কলা যেমন উপকারী, তেমনই পরিমাণের ওপর ডিপেন্ড করে এর অপকারী দিক চলে আসে।
পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহানের পরামর্শ, কলায় যে পটাসিয়াম আছে, সেটা স্পোশাল। কারণ, এই পটাসিয়ামের কারণে হার্ট হেলদি থাকে। আমাদের প্রেশার কন্ট্রোল করার জন্য কলা অনেক বেশি উপকারী। কলাই একমাত্র খাবার, যেখান থেকে আমরা ইনস্ট্যান্ট পটাসিয়াম পেয়ে যাই। কলা খুব সহজপাচ্য একটি খাবার। অন্যান্য খাবার কনভার্ট হতে, পটাসিয়ামটা কাজে লাগতে যত সময় লাগে, কলা তত সময় নেয় না। সে জন্য যাঁদের সিভিয়ার পটাসিয়াম ল্যাকিংস থাকে, আমরা তাঁদের বলি, প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা কলা খেতে। তবে মনে রাখতে হবে, কোন পরিমাণ কলা আপনি খাবেন। চিনিচম্পা কলা থেকে সাগর কলা—এ ধরনের বিভিন্ন সাইজের কলা থাকে এবং এই পরিমাণের ওপর নির্ভর করে আমি কতটুকু নিউট্রিশন পাচ্ছি। বাচ্চাকে বড় সাইজের কলা অনায়াসে খেতে দিতে পারি, কিন্তু যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, সুগার লেভেল অনেক বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে তাঁকে কয়টা কলা দেব সেটা তার ওজন ও সুগার লেভেলের ওপর নির্ভর করে।
পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান বলেন, অনেকে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কলা বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু কলার যে জিআই, যেটা আমাদের সুগারের পরিমাণ নির্ভর করে, সেটা ফিফটি থেকে ফিফটি ওয়ান; মাঝারি যে জিআই থাকে, সেখান থেকে আমরা অনায়াসে কলাটাকে নিতে পারি। অনেকে কলা পছন্দ করেন, কিন্তু এই ধরনের প্রবলেমের কারণে খাবার থেকে বাদ দিয়ে দেন। তাঁদের জন্য টিপস, অন্যান্য যে খাবার আছে, কার্বোহাইড্রেট বা সুগার জাতীয় খাবার যদি কম খাই, তাহলে কলা খেলে সেটা ব্যালেন্স হয়ে যাবে। কলা কখন খাবেন? বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা সকালে কলা খেতে বলি। কারণ, কলার যে নিউট্রিশন, সেটা অ্যাবজর্ব হওয়ার জন্য আমাদের সকালের মেটাবলিজম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দাদি-নানিরা বলত, কলা সকালে খেলে হীরার মতো কাজ করে, রাতে খেলে বিষ। কিন্তু একই শরীর, কলা কি বোঝে কোনটা সকাল কোনটা রাত?
কলার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।