কালার ডপলার কাদের করানো হয়?
কালার ডপলার পদ্ধতিতে শব্দতরঙ্গকে বিভিন্ন রঙে পরিবর্তন করতে একটি কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়, যা রিয়েল টাইমে রক্তপ্রবাহের গতি ও দিক দেখায়। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, কালার ডপলার কাদের করানো হয়।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে কালার ডপলারের ক্লিনিক্যাল ব্যবহার সম্পর্কে বলেছেন আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও ঢাকার ল্যাব এইডের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুল ইমাম হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. মুনা তাহসিন।
কালার ডপলার কাদের করানো হয় বা কোন কোন ইন্ডিকেশনে এটি করা হয়ে থাকে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মাহবুবুল ইমাম হোসেন বলেন, সাধারণত সমস্ত শরীরে আমাদের রক্তপ্রবাহ হয়। সুতরাং সব অরগানের ক্ষেত্রে, সব সিস্টেমের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। কিন্তু আমি যদি আমাদের মস্তিষ্ক থেকে শুরু করি, মস্তিষ্কে তো রক্তচলাচল হতেই হবে প্রতি মুহূর্তে। এক সেকেন্ড বন্ধ হওয়ার কোনও উপায় নেই এবং অক্সিজেন সাপ্লাই এ রক্তের মাধ্যমে হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আমাদের রক্তের যে প্রধান বাহন আমাদের ব্রেইনে, সেটা হলো ক্যারোটিড আর্টারি এবং ফেরত আসে ওগুরোর ভেইন দিয়ে। সুতরাং ক্যারোটিড আর্টারির ইভ্যালুয়েশন আমাদের করতে হয়।
ডা. মাহবুবুল ইমাম হোসেন বলেন, যে সমস্ত রোগীর হুট করে মাথা ঘুরছে, হুট করে সে ব্ল্যাকআউট হয়ে গেল এবং এক সেকেন্ডের জন্য পড়ে গেল অথবা কোনও স্ট্রোকের রোগী, তখন আমাদের ক্লিনিক্যাল ফিজিশিয়ান, যাঁরা কার্ডিওলজিস্ট, নিউরোলজিস্ট, যে কোনও ডিসিপ্লিনের হোক, উনারা পাঠান আমাদের কাছে যে ক্যারোটিড আর্টারি ব্লাড ফ্লো দেখার জন্য। এটা আমাদের ঠিক গলার দুপাশে দুটো, এটার মধ্যে কোনও ব্লক বা ব্লাড ফ্লোর মধ্যে কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে কি না, সেটি দেখার জন্য। এরপর আমাদের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ হলো কিডনির ব্লাড ফ্লো দেখার জন্য। কিছু কিছু ব্লাড প্রেশারের পেশেন্ট আছে, যাঁদের ওষুধে ধরছে না কিংবা কন্ট্রোল হচ্ছে, আবার ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাচ্ছে। তাহলে তাঁর কিডনির আর্টারির সমস্যা আছে কি না, যেটাকে আমরা বলি রেনাল আর্টারি স্টেনোসিস, সেটা আছে কি নেই, তা স্ক্রিনিং করার জন্য।
ডা. মাহবুবুল ইমাম হোসেন যুক্ত করেন, আরেকটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, পুরুষের ইনফার্টিলিটির জন্য। টেস্টিকুলার ব্লাড ফ্লো দেখার জন্য। কারণ, টেস্টিসে একটা ডিজিজ আছে ভেরিকোসিল, যেটা আমাদের পেশেন্টরা খুব বেশি ভোগে, লক্ষণ খুব বেশি হয় না। উনি হয়তো ডাক্তারদের কাছে যান, ইউরোলজিস্টদের কাছে যান, গিয়ে বলেন যে আমার তো অণ্ডকোষের দিকে পেইন হচ্ছে, খুব হালকা, আমি শুয়ে পড়লে আবার ঠিক হয়ে যায়, হাঁটাহাঁটি করলে বাড়ে। তো তাঁর ভেরিকোসিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ওইটাও কালার ডপলারে দেখতে হয়। অন্য কোনও ডিভাইস দিয়ে দেখে কোনও লাভ হবে না।
কালার ডপলার কাদের করানো হয়, এ সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।