কীভাবে বুঝবেন আপনি প্যানিক ডিসঅর্ডারে ভুগছেন?
অনেকেই প্যানিক ডিসঅর্ডারের সমস্যায় ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে প্যানিক ডিসঅর্ডারের সমস্যা ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে প্যানিক ডিসঅর্ডারের সমস্যা ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে বলেছেন স্কয়ার হসপিটালের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো.আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
প্যানিক ডিসঅর্ডার বলতে কী বোঝায়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো.আজিজুল ইসলাম বলেন, প্যানিক ডিসঅর্ডার হলো—ইংরেজিতে বলব—এটা ভেঙে বলব, একিউট এপিসোডিক অ্যাংজাইটিস। খুব তীব্রভাবে এটা হয়। এপিসোডিক মানে ঘুরে ঘুরে আসছে। অ্যাংজাইটি মানে উদ্বিগ্নতা। একিউট, খুব তীব্রভাবে হবে; এপিসোডিক, মাঝে মাঝে হবে, ঘুরে ঘুরে হবে; অ্যাংজাইটি মানে উদ্বিগ্নতা। আমরা এটাকে এভাবে বিশ্লেষণ করতে পারি।
অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো.আজিজুল ইসলাম আরও বলেন, একটা উদাহরণ দিয়ে বলি। রাতে টিভি দেখতে বসেছি। খেয়েছে একজন ভদ্রলোক, মধ্যবয়স্ক, টিভি দেখতে বসেছেন। হঠাৎ করে তাঁর মনে হলো যে খাওয়ার পরে আজ গ্যাস গ্যাস মনে হচ্ছে, পেটে একটু গ্যাস লাগছে। হঠাৎ করে তাঁর মনে হলো, গ্যাসে গলা আটকে গেল কি না; তাঁর ধারণা, গ্যাস বোধহয় তাঁর গলা আটকে দিচ্ছে। তাঁর মনে হচ্ছে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর পরে তাঁর মনে হবে যে আমার বুক তো ফেটে যাচ্ছে, আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না। এর পরে তাঁর মনে হবে যে আমার চেস্ট কমপ্রেস বা চাপা দিচ্ছে। এই যে চাপা দিচ্ছে, আমার মনে হয় কিছু হয়ে গেল, তার পর বুক ধড়ফড় শুরু করবে। আর বুক ধড়ফড় শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিনি ভাববেন যে আমার হার্টে কিছু হয়ে গেল, তখন ঘাম দেওয়া শুরু করল। ঘাম দেওয়া শুরু করল, চিৎকার শুরু করল, আমি কিন্তু মরে গেলাম। এ রকম ভাবে কিন্তু প্যানিকটা আসে।
প্যানিক ডিসঅর্ডারের সমস্যা ও তার চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।