কী কী খাবারে শিশুর অ্যালার্জি ও অ্যাজমা হয়
অনেক শিশুই অ্যালার্জি ও অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছে, কষ্ট পাচ্ছে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেব কী কী খাবারে শিশুর অ্যালার্জি ও অ্যাজমা হয়।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে শিশুর বিভিন্ন রোগ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে কথা বলেছেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান কামরুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
অ্যালার্জি যাতে না হয়, অ্যালার্জি যাতে অ্যাগ্রাভেট না করে, কী কী খাদ্য এই তালিকায় আছে; বেশির ভাগ কী দেখা যায়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, আমরা রোগীদের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের পরামর্শ দিই, স্পেসিফিক কিছু খাবার আছে, যে খাবারগুলোতে সবারই অ্যালার্জিক প্রবলেম থাকে। এর ভেতরে থাকে গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, পুঁইশাক, বেগুন ইত্যাদি। যার যে খাবারে অ্যালার্জি আছে, সে খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। খাওয়ার পর যদি সেটি অ্যাগ্রাভেট করে, তাহলে সেটি খাওয়া যাবে না।
আপনি বলছিলেন, অ্যাজমা পুরোপুরি কখনও ভালো হবে না। এটি কি আসলে ভালো হয় পুরোপুরি, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, চাইল্ডহুড অ্যাজমা যেগুলো আছে, যদি ইনিশিয়ালি ডায়াগনোসিস করে ট্রিটমেন্ট করা যায়, একটা বয়সের পরে দেখা যায়, নিয়মকানুন যদি মেনে চলে তাহলে কোনও ওষুধও দরকার হয় না। সাধারণত ৮ থেকে ১০ বছর পরে, চাইল্ডহুড অ্যাজমাগুলো যদি আরলি স্টেজে ডায়াগনোসিস হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে তার হয়তো মেডিসিন নাও লাগতে পারে।
ডা. কামরুজ্জামান কামরুল যুক্ত করেন, আমি প্রথমে একটি জিনিস বলেছিলাম যে, অভিভাবকদের জানা দরকার, প্রথমেই মনে রাখতে হবে অ্যাজমা ইজ নট আ কিউরেবল ডিজিজ, কন্ট্রোলেবল ডিজিজ। দেখা যায়, একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে অনেক দিন, চার-পাঁচ বছর হয়তো মেডিসিন লাগছে না, আবার যদি এই ট্রিগারিং ফ্যাক্টরগুলো তার ভেতরে আসে যে কোল্ড এক্সপোজার হয়েছে, অ্যালার্জি-জাতীয় খাবার খেয়েছে অথবা ডাস্টের ভেতর এক্সপোজ হয়েছে, তাহলে দেখা যাবে আবার হতে পারে।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।