গর্ভবতী মায়েরা কি সোরিয়াসিসের ওষুধ খেতে পারবেন?
সোরিয়াসিস খুবই কমন একটি রোগ। কনুইয়ে, হাঁটুতে, মাথার পেছনে চামড়া মোটা হয়ে যায়, লাল হয়ে যায় এবং মাছের আঁশের মতো চামড়া উঠতে থাকে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে সোরিয়াসিস সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইমদাদুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
সোরিয়াস কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়, সঞ্চালকের এই প্রশ্নের জবাবে ডা. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা বারবার বলি, আপনি সব সময় ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন, যাতে ত্বক নরম থাকে। এর জন্য আপনার হাতের কাছে যা থাকে—ভ্যাজলিন হোক, নারকেল তেল হোক, লাগাবেন। মাঝেমধ্যে আমি কৌতুক করে বলি, কেরোসিন তেল ছাড়া সব তেল লাগাবেন। সব সময় এটাকে ভেজা ভেজা রাখবেন। তাহলে আপনি এটা থেকে অনেকাংশে বেঁচে যাবেন।
গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে কী করা উচিত, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. ইমদাদুল হক বলেন, সৃষ্টিকর্তা আমাদের এমন ভাবে বানিয়েছেন... মজার ব্যাপার হচ্ছে, গর্ভকালে সোরিয়াস ওভাবে বাড়ে না। তখন হয় কি, বাচ্চা আসার পরে কিছু হরমোন নিঃসরণ করে শরীর, যেটা সোরিয়াসিসকে অটোমেটিক্যালি ভালো রাখার জন্য কাজ করে। আমরা সাধারণত যে ওষুধ দিই, আমরা রোগীকে বলি ওষুধগুলো বন্ধ করে দেবেন। এর পরেও যদি রোগীরা কসাস থাকে, আমরা এমন ওষুধ দিই যাতে তাঁর প্রেগন্যান্সি হ্যাম্পার না করে। এ সময় মনিটরিং খুব জরুরি।
সোরিয়াসিস কী, সোরিয়াসিস কেন হয়, এ থেকে মুক্তিতে আধুনিক চিকিৎসাই বা কী, এসবের বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।