গর্ভবতী মা কী খাবেন, কী খাবেন না
সাধারণ সময়ে তুলনায় গর্ভবতী নারীর বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। গর্ভধারণের আগে থেকেই ডায়েট পরিকল্পনা করে রাখা ভালো। তাতে অনাগত সন্তান ও মা সুস্থ থাকেন। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে বলেছেন বারডেম হাসপাতালের সিনিয়র পুষ্টি ও পথ্য বিশেষজ্ঞ শামছুন্নাহার নাহিদ।
পুষ্টি ও পথ্য বিশেষজ্ঞ শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, অনেকের ধারণা হচ্ছে, যখনই একজন মা প্রেগন্যান্ট হন, তখনই তাঁর বাড়তি খাবার শুরু। আসলে কিন্তু তা নয়। প্রথম তিন মাসে একজন গর্ভবতীর শরীরে খাবারের চাহিদা বাড়তি হয় না। তখন কিন্তু সে স্বাভাবিক খাবারই খেতে পারে। কিন্তু যখনই তার প্রেগন্যান্সি চার মাস শুরু হলো, তখন থেকে বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত ধাপ অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ, বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি অনুযায়ী ওই পুষ্টিজাতীয় খাবার প্রচুর দরকার হয়। এটা ওই মায়ের শরীরের অবস্থা, তার গর্ভে কয়টা সন্তান, কারও একটা থাকতে পারে, কারও টুইন বেবি হতে পারে এবং তার অন্য কোনও জটিলতা আছে কি না; যেমন কারও প্রেগন্যান্সি ডায়াবেটিস থাকতে পারে, হাইপারটেনশন থাকতে পারে; এ বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করেই খাবারের চাহিদা ঠিক করা হয়।
শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, সাধারণ ক্ষেত্রে প্রত্যেক মায়ের প্রি-প্রেগন্যান্সি ওয়েট থেকে বাচ্চা যখন জন্ম নেবে, সেই পর্যন্ত বাচ্চার ওয়েট যদি ঠিক থাকে, তাহলে ১২ থেকে ১৪ কেজি ওজন বাড়াতে হবে। যদি প্রি-প্রেগন্যান্সিতে ওভার ওয়েট থাকে, তাহলে সাত থেকে ১০ কেজি এবং যাদের প্রি-প্রেগন্যান্সিতে আন্ডার ওয়েট থাকে, তাদের ক্ষেত্রে ১৪ থেকে ১৫-১৬ কেজি ওজন বাড়াতে হতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে ভুল প্র্যাকটিসের কারণে প্রথম তিন মাসেই মায়ের অনেক ওয়েট বেড়ে যায়, তখন মায়ের অ্যাপেটাইট বেড়ে যায়। তখন কী হয়, মায়ের নিজের শরীরের চাহিদার কারণেই খাবারের পরিমাণ অনেক প্রয়োজন হয়। এটাতে ক্ষতি কী হয়, মায়ের অনেক ওজন বেড়ে যায়, কিন্তু বাচ্চা তার চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি পায় না।
এ পুষ্টিবিদ আরও বলেন, গর্ভাবস্থায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেলের চাহিদা যেমন পূরণ করা উচিত, মায়ের দৈনন্দিন প্রয়োজন অনুযায়ী খাবারের পুষ্টি যতটুকু দরকার, সপ্তাহ অনুযায়ী, মাস অনুযায়ী সেভাবে খাবারের নিয়মটা পরিমাণটা বাড়াতে হবে।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।