গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা হলে মা ও বাচ্চার ওপর কী প্রভাব পড়ে
অনেক নারীর গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। বাংলাদেশে এর হার অনেক বেশি। প্রায় ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ। সে জন্য গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। আজ আমরা এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে গর্ভাবস্থা ও রক্তস্বল্পতা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বেনজীর হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. শারমিন জাহান নিটোল।
রক্তস্বল্পতা যদি কোনও মায়ের থাকে, সেটি যদি চিকিৎসা করা না হয়, সে ক্ষেত্রে মা ও বাচ্চার কী ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. বেনজীর হক বলেন, আমি অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতাকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কারণ, এই একটা উপাদান যদি শরীরে ডিফিসিয়েন্সি থাকে, তাহলে আমি আমার শরীরকে অনেক ডিজিজকে ইনভাইট করে ফেলি। যেমন—আমরা প্রায়ই শুনে থাকি, প্রেগন্যান্সিতে তার প্রেশার বেড়ে যাচ্ছে, প্রেগন্যান্সিতে তার ইডেমা ডেভেলপ করে যাচ্ছে, তার সারা শরীরে... যেটাকে আমরা প্রি-অ্যাকলামসিয়া বলে থাকি। তার পর আমরা অনেক সময় শুনে থাকি, মাত্র সাত মাস, কিন্তু বাচ্চা আইওডি হয়ে গেছে; মাত্র আট মাস, এখনই তার পানিটা ভেঙে গেছে; বাচ্চা যে পানিতে বড় হচ্ছে... তার পর দেখা গেল যে পেশেন্ট লেবারে গিয়েছে, কিন্তু লেবারটা প্রগ্রেস করছে না; এই যে ব্যাপারগুলো, এগুলো সবই কিন্তু রক্তস্বল্পতার কারণে। এই একটা বিষয়ে আমি যদি প্রথম থেকেই খুব সিরিয়াসলি ট্রিটমেন্ট নিয়ে থাকি, একজন পেশেন্ট নিয়ে থাকে, তাহলে সবকিছু প্রিভেন্ট করা যায়।
গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা, মা ও বাচ্চার ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।