ঘন ঘন স্যানিটাইজে হাতের সমস্যায় করণীয়
অনেক দিন ধরেই আমাদের করোনার সঙ্গে বসবাস। কখনও করোনার প্রভাব কমে যাচ্ছে, কখনও বাড়ছে। অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এর কোনো প্রভাব কি আমাদের ত্বক ও চুলের ওপর পড়ছে?
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে জানিয়েছেন ডা. জাহিদা নাসরিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. শারমিন জাহান নিটোল।
ওই প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদা নাসরিন বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। আমরা যেটা দেখছি বেশির ভাগ মানুষ বলছে, হাতে অ্যালার্জির সমস্যা বা কারও কারও ক্ষেত্রে পুরো শরীরেও হচ্ছে। মোদ্দা কথা, অ্যালার্জির সমস্যা হচ্ছে। রিপিটেড হ্যান্ড ওয়াশিং থেকে এ রকম হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছে, খুব বেশি চুল পড়ছে। মাস্ক পরার কারণে ত্বকে ব্রণের সমস্যার কথাও বলছে অনেকে।
করোনার জন্য আমরা বার বার হ্যান্ড ওয়াশিংয়ের কথা বলছি। স্বাস্থ্যবিধি মনে চলতে হবে এবং তার একটি উপায় ঘন ঘন হাত ধুতে হবে অথবা হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। বার বার হাত ধুতে গিয়ে কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদা নাসরিন বলেন, আমরা যে হ্যান্ড ওয়াশ করছি, সেটা হ্যান্ডওয়াশ বা সোপ দিয়েও যদি করি, সেখানে প্রচুর অ্যালকালি থাকছে বা ক্ষার খুব বেশি থাকছে। সে জন্য দেখা যায়, আমাদের স্কিনটা খুব ড্রাই হয়ে যায়। কেউ যদি বলে, আমি তো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি, সেখানেও তো অ্যালকোহল থাকছে। মিনিমাম সিক্সটি ফাইভ পারসেন্ট অ্যালকোহল থাকছে। ওটা স্কিনকে ড্রাই করার জন্য দায়ী। স্ক্রিন ড্রাই হওয়ার কারণেই অ্যালার্জিটা বেশি হচ্ছে।
বার বার হ্যান্ড ওয়াশ করার পরে আমরা কী করতে পারি? ডা. জাহিদা নাসরিন বলেন, যখনই প্রয়োজন তখনই আমরা হ্যান্ড ওয়াশ করব। এরপর আমরা যেন ভালো ময়েশ্চারাইজার ইউস করি হাতে। ভিটামিন ই কনটেইনিং ময়েশ্চারাইজার হলে বেস্ট।
কী ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে? উত্তরে ডা. জাহিদা নাসরিন বলেন, ভিটামিন ই বা একটু অয়েল বেইজড যেটা, সেটা হাতের জন্য ভালো হবে। হাতের ড্রাইনেসটাকে কাভার করবে। ইনফেকটেড হওয়ার টেন্ডেন্সিটা কম থাকবে।
কারও ক্ষেত্রে যদি এ ধরনের সমস্যা হয়েই যায়, অনেকের ক্ষেত্রে পাসও লক্ষ করা যাচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে কী করণীয়? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. জাহিদা নাসরিন বলেন, যখন পাস নিয়ে আসছে, তাদের অবশ্যই আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। টপিক্যাল তো দিতে হচ্ছেই, সাথে সিস্টেমিকও দিতে হচ্ছে। কারণ, হাত তো খুব ইমপরট্যান্ট একটা... আমাদের দৈনন্দিন কাজের অনুষঙ্গ বা অংশ। সেই হাতকে যদি কেউ ইনফেকটেড করে বসে থাকে, তাহলে তো চলবে না। খুব দ্রুত সারিয়ে তুলতে হবে।
ঘন ঘন স্যানিটাইজার ব্যবহারে হাতে কী কী সমস্যা হতে পারে আর কী করণীয়, তা জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।