ঘুমন্ত মানুষ নাক ডাকে কেন?
অনেকেই ঘুমন্ত অবস্থায় নাক ডাকেন। পাশের মানুষটির এতে ঘুমের ব্যাঘাত হয়। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে জানব, নাক ডাকার কারণ কী।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে নাক ডাকা নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন ডা. ফুয়াদ মোহাম্মাদ। তিনি বলেন, নাক ডাকা নিয়ে কথা বলতে গেলে, আমাদের সামাজিক বাস্তবতায় এটা খুব পরিচিত একটা শব্দ। আমরা কেউ যদি নাক ডেকে ঘুমাই, আমরা বলি যে কত সুখেই না ঘুমাচ্ছে। আমাদের একটি ধারণা হচ্ছে যে যিনি নাক ডাকেন, তাঁর স্লিপটা খুব কোয়ালিটি স্লিপ হচ্ছে এবং উনি একটা নিশ্চিত মানুষ এবং উনার জগৎ-সংসার সম্বন্ধে আসলে তেমন চিন্তা-ভাবনা নেই। কিন্তু বাস্তবতা তা বলে না।
ডা. ফুয়াদ মোহাম্মাদ বলেন, আমাদের রিসেন্ট স্টাডি সারা পৃথিবীব্যাপী, যেটা বলে যে নাক ডাকা প্রথমত একটা স্বস্তির ব্যাপার হলেও এর পরিণতি খুব সুখকর নয়। বিভিন্ন বয়সে নাক ডাকার কারণ বিভিন্ন হতে পারে। যেমন—একটা ছোট বাচ্চা, যার বয়স তিন থেকে সাত বা দশের মধ্যে। এই বয়সে বাচ্চাদের নাকের পেছনে টনসিল-জাতীয় একটা লিমফয়েড টিস্যু বৃদ্ধির কারণে তার শ্বাসনালি এটাকে অনেকটা বন্ধ করে ফেলে, ন্যাজোফ্যারেনজিয়াল যে এয়ার ওয়ে আমরা বলি, সেটাকে বন্ধ করার ফলে দেখা যায়, এই বাচ্চাটা হয়তো ঘুমের মধ্যে শুধু পর্যাপ্ত বাতাস না যাওয়ার কারণে হয়তো সে নাক ডাকছে। এখন এই বাচ্চাটাকে যদি আপনি, যদি তার বাবা-মা মনে করে খুব শান্তিতে ঘুমাচ্ছে, তা মনে করার কারণ নেই। উনারা যদি একবার চিন্তা করেন, বাচ্চাটা কেন নাক ডাকছে এবং ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে, বিশেষ করে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের কাছে; অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাবে যে বাচ্চাটা অনেক কষ্টে ঘুমানোর চেষ্টা করছে। এবং দেখা যায় সে কিন্তু বাইপাস তৈরি করে নেয়, যখন নাকটা বন্ধ হয়ে যায়, সে মুখে একটা অল্টারনেট রাস্তা তৈরি করে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। এবং অ্যাডিনয়েডের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যেটা বাবা-মায়েদের সব সময় বলি, প্রথম প্রশ্নটাই করি, আপনার বাচ্চা কি মুখ হাঁ করে শ্বাস নেয়? তখন তাঁরা বলেন, হ্যাঁ, আমার বাচ্চা তো মুখ হাঁ করে শ্বাস নেয়…।
তিনি আরও বলেন, একটা মিডল এজের পুরুষ বা নারী, যিনি নাক ডাকছেন... বাইরের দেশগুলোতে কিন্তু সেপারেশনের ওয়ান অব দি টপ লিস্টেড কজ এই স্নোরিং। কারণ, দেখা যায় যে তাঁর পাশে যিনি ঘুমাতে চাচ্ছেন, তিনি কিন্তু ঘুমাতে পারছেন না... আমাদের দেশের মানুষ সর্বংসহা... সেটা সামাজিক বাস্তবতায় মেনে নিলাম। কিন্তু এই মানুষটা কত ঝুঁকিতে আছে তা যদি একবার চিন্তা করেন, যিনি নাক ডাকছেন, তাঁর কোথাও একটা অবস্ট্রাকশন আছে। সে ক্ষেত্রে আমরা বলি, লেক অব অবস্ট্রাকশন কিন্তু মাল্টিপল আছে। ধরেন, একটা মানুষের নাকের হাড়টা বাঁকা, এতটাই বাঁকা যে উনার একটা নাকের ছিদ্রপথে বাতাস যাওয়ার রাস্তা খোলা আছে, আরেকটা নাক অলমোস্ট বন্ধ থাকে। কিন্তু তাঁর বডি যে বাতাস ডিমান্ড করে, সেই বাতাস নাসারন্ধ্র দিয়ে যেতে পারে না... যখন অনেক পানি, অনেক বাতাস একটা ছোট জায়গার ভেতর দিয়ে যায়, তখন কিন্তু সেখানে একটা টার্বুলেন্স হয়; ঝড়ের সময় যখন প্রবল বাতাস আসে, তখন দেখবেন যে শোঁ শোঁ শব্দ হতে থাকে...
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এই ভিডিওটি :