চোখের স্ট্রোকই স্ট্রোকের পূর্বাভাস
চোখের স্ট্রোক অপটিক স্নায়ুর সামনের অংশে অবস্থিত টিস্যুতে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহের অভাবের কারণে ঘটে। এটি ব্যথাহীন হলেও বিপজ্জনক। তবে প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করা হলে চিকিত্সাযোগ্য।
চোখের স্ট্রোকের লক্ষণ
এই ধরণের স্ট্রোকের ফলে দৃষ্টিশক্তিতে আকস্মিক পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যেমন- ঝাপসা দেখা, অন্ধকার দেখা । এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল যে, এটি বেশিরভাগ সময় একটি চোখে ঘটে থাকে।
দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকি আছে কী?
তথ্য অনুসারে, চোখের স্ট্রোকের সময় ছোট ধমনীতে কম গুরুতর বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে ৮০ শতাংশ সময় দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে। যেহেতু, এটি অপটিক স্নায়ুর সামনের অংশে অবস্থিত টিস্যুতে রক্ত প্রবাহের অভাবের কারণ। তাই চিকিত্সায় বিলম্বিত হলে, দৃষ্টিশক্তির জন্য মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। এই স্ট্রোকের সময় অপটিক স্নায়ু সম্পূর্ণরূপে পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এটি স্নায়ু টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে। যার ফলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনাক্ত করার উপায় কী?
পেন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট অনুসারে, চোখের স্ট্রোক হলে বেশিরভাগ মানুষ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। এ সময় চোখে ব্যথা অনুভব হয় না। তাই অনেকেই ব্যাপারটি এড়িয়ে যান।
ওয়েবসাইটটি থেকে জানা গিয়েছে, এ সময় দৃষ্টিতে একটি অন্ধকার এলাকা বা ছায়া দেখা যায়। যা তাদের ভিজ্যুয়াল ক্ষেত্রের ওপরের বা নীচের অর্ধেককে প্রভাবিত করে। এ ছাড়া আলোর সংবেদনশীলতা চোখের স্ট্রোক লক্ষণগুলির মধ্যে একটি।
কাদের ঝুঁকি বেশি?
পেন মেডিসিনের মতে, যাদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ রয়েছে এবং ভায়াগ্রা ওষুধও গ্রহণ করেন তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। আমাদের অপটিক ডিস্কের আকৃতি চোখের স্ট্রোকের জন্য উচ্চ ঝুঁকিতে ফেলতে পারে৷ নার্ভ ফাইবারগুলি মস্তিষ্ক এবং অপটিক স্নায়ুর নীচে থাকে। এগুলো চোখ খোলার মাধ্যমে চোখে প্রবেশ করে থাকে।
এটি অপটিক ফোরামেন নামে পরিচিত। অনেক সময় একজন ব্যক্তির ফোরামেন গড়ের চেয়ে ছোট হয়। এটি
অপটিক স্নায়ুগুলির জন্য ক্ষতিকর। যার ফলে চোখের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
দ্রুত নির্ণয়
হঠা দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেললে জরুরিভাবে চিকিৎসার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করা উচিত। চোখের স্ট্রোকটি চার ঘন্টার মধ্যে নির্ণয় করা জরুরি। অন্যথায়, চোখের স্নায়ুগুলোতে রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হবে।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া