ডায়াবেটিস রোগীদের আম খাওয়ার ৫ নিয়ম
গরমকালে রসালো আম খেতে সবাই পছন্দ করেন। এটি বেশ সুস্বাদ্য ফল। আম ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। আমে ভিটামিন, আয়রন এবং পটাসিয়াম রয়েছে। এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা অনেক সময় আম খেতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। গ্রীষ্মের এই ফলটি পরিমিত পরিমাণে সব ডায়াবেটিস রোগীরাই খেতে পারবেন। আমের জিআই (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) কম থাকে। এতে থাকা ফাইবার ও পানি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না। তাই বলে বেশি পরিমাণে আম খাওয়া উচিত নয়। অনেক সময় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষতি করতে পারে।
পুষ্টিবিদ অনুপমা মেনন, হিন্দুস্তান টাইমসের ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,“আম একটি সুস্বাদু ফল। এটি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। গ্রীষ্মকালীন ফলটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি প্রচুর বৈচিত্র্যময়। আমে মাঝারি গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে। আপনি যে ফলই খান না কেনো তা পরিমিত হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে। কারণ একটি ফল কতটা চিনির মাত্রা বাড়াতে পারে তা নির্ভর করে ফলের মধ্যে থাকা চিনির ওপর”।
অনুপমা সতর্ক করে বলেছেন যে, আমে থাকা আসক্তিপূর্ণ মিষ্টি গন্ধ মানুষকে খেতে বাধ্য করে। তবে এক দিনে ১৫০ গ্রামের বেশি না খাওয়াই ভাল। তিনি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি রোধ করতে আম খাওয়ার ৫টি উপায় দিয়েছেন।
স্মুদি
আম আর দই মিশিয়ে স্মুদি হিসাবে খাওয়া যেতে পারেন। কারণ এতে জিআই-এর পরিমাণ আরও কম থাকে। যা প্রায় ২০০মিলি।
স্ন্যাকস
আম স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন। এটি সকাল বা বিকালে খাওয়া ভাল। তবে খাবারের পরে খাওয়া উচিত নয়। আমকে ৭-৮টি বাদামের গুঁড়ো দিয়ে মিল্কশেক বানিয়েও খেতে পারেন।
প্রোটিনের সাথে খাওয়া
ডায়াবেটিস রোগীরা আমের প্রোটিন শেক বানিয়ে খেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে, ১০০--১৫০ গ্রাম আম, ১০০ মিলি দুধ মিশিয়ে নিন। এবার ব্ল্যান্ড করে পান করুন। এটি ওয়ার্কআউটের পরে খেতে পারেন।
প্রক্রিয়াজাত আম এড়িয়ে চলুন
বাজারে প্রচুর পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত আম পাওয়া যায়। এগুলো টিনজাত বা হিমায়িত থাকে। এসব না খাওয়াই ভালো।
খাবারের সাথে আম খাবেন না
আপনার নিয়মিত খাবারের সাথে আম খাবেন না। সকালের নাস্তা, মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারে সাথে আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এমনকি খাওয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথেও খাবেন না।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস