দুধ কেন আদর্শ খাবার?
দুধ একটি সুষম খাবার। শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সী মানুষ, আমরা সবাই কমবেশি দুধ খেয়ে থাকি। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনীম। তিনি বলেন, দুধকে যেহেতু আমরা আদর্শ খাবার বলে থাকি, সেহেতু আমরা বুঝতেই পারছি দুধের পুষ্টিগুণ কতটা বেশি। দুধ এমন একটি খাবার, যাকে আমরা প্রোটিনের উৎস বলে থাকি। প্রোটিনের উৎস হলেও এতে শর্করা, ফ্যাট এবং ভিটামিন-মিনারেল থাকার কারণে এটাকে আদর্শ খাবার বলা হচ্ছে।
পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনীম বলেন, এক কাপ দুধ বা ২৪০ মিলিলিটার দুধের মধ্যে কতটুকু পুষ্টি উপাদান ও কতটুকু ক্যালোরি রয়েছে? ২৪০ মিলিলিটার দুধের মধ্যে রয়েছে ১৪৯ কিলোক্যালোরি। আমরা সবাই জানি, দুধের মধ্যে ৮৮ শতাংশ পানি থাকে আর বাকি ১২ শতাংশে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, সুগার ও ফ্যাট। এর মধ্যে প্রোটিন রয়েছে ৭.৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ১১.৭ গ্রাম, সুগার রয়েছে ১২.৩ গ্রাম এবং ফ্যাট রয়েছে ৮ গ্রাম। মানুষের শরীরে এই পুষ্টি উপাদানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ আরও উপাদান, যা আমাদের হাড়ের গঠন থেকে শুরু করে চোখ, চুল এবং প্রত্যেক অঙ্গের জন্য খুবই উপকারী।
পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনীমের পরামর্শ, দুধ আমাদের খাদ্যতালিকায় একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখতে হবে। যেহেতু দুধ একটি আদর্শ খাবার এবং এটা প্রোটিনের ভালো উৎস, সেহেতু দুধে যে প্রোটিন পাওয়া যায় এবং দুধের প্রোটিনের নাম হলো কেজিন। এই কেজিন আমাদের পটাসিয়াম, ফসফরাস বা ক্যালসিয়াম অ্যাবজর্বসেশনের জন্য কাজ করে। এ ছাড়া দুধে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল আমাদের শারীরিক গঠন কিংবা শারীরিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
দুধের পুষ্টিগুণ ও নির্দিষ্ট মাত্রায় দুধ খেলে কী উপকারিতা মিলবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।