নরমাল ডেলিভারির জন্য কী কী প্রস্তুতি নেওয়া উচিত
মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে চান না, এমন নারী খুব কমই আছেন। কিন্তু প্রসব সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা সাধারণত খুব কম জানি। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রস্তুতি সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে নরমাল ডেলিভারির প্রস্তুতি বিষয়ে বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হসপিটালের গাইনি ও অবস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বেনজীর হক পান্না। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
আপনি বলছিলেন, যেসব জায়গায় নরমাল ডেলিভারি প্রয়োজন, সেসব জায়গায় নরমাল ডেলিভারি করতে হবে। আর যেসব জায়গায় সিজারিয়ান সেকশন জরুরি, সেখানে কখনও নরমাল ডেলিভারি করানো যাবে না। যাঁদের ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি হবে, তাঁদের প্রস্তুতির বিষয়গুলো কী কী, নরমাল ডেলিভারির পূর্বে তাঁদের কী কী বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. বেনজীর হক পান্না বলেন, প্রস্তুতির বিষয়টি শুধু পেশেন্টের নয়, ডক্টরেরও এখানে দায়িত্ব আছে। পেশেন্ট দশ মাসে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় বার ফলোআপে আসবে। প্রতিবারই যদি আমি নরমাল ডেলিভারি নিয়ে একটু কাউন্সেলিং করি... চাইলে আরও বেশি আসতে পারে। যারা কমপ্লিকেটেড হাই রিস্ক গ্রুপ, তারা তো প্রতি মাসেই ফলোআপে আসে। আমাদের তো একটা গাইডলাইন আছে, যারা হাই রিস্ক গ্রুপ, তারা মাসে আসবে সাত মাস পর্যন্ত। তারপর দুসপ্তাহ পরপর আসবে, নয় মাস পর্যন্ত। তারপর প্রতি সপ্তাহে আসবে।
ডা. বেনজীর হক পান্না বলেন, প্রতি বারই যদি পেশেন্টকে ডেলিভারির ব্যাপারে কথা বলে দিই, কাউন্সেলিং করে দিই বা পেশেন্টকে বলে দিই কোন কোন ওয়েতে থাকলে সে নরমাল ডেলিভারি করবে। আমি সব সময় পেশেন্টকে বলি, লো কমোড ইউস করবে, হাই কমোড ইউস করো না। বাসায় অবশ্যই কিছু কাজ করবে। অনেকে মনে করে, প্রেগন্যান্সি মানে আমি অসুস্থ, আমি স্কুলে যাব না, কলেজে যাব না, অফিসে যাব না, ছুটি নিয়ে নেব, এটা নয়। তাকে বাসায় কিছু অ্যাকটিভিটিস করতে হবে। কিছু এক্সারসাইজ লাগবে। সকালে সে ১৫-২০ মিনিট হাঁটতে পারে, বিকেলে একটু হাঁটতে পারে, হাউসহোল্ড যেসব অ্যাকটিভিটিস আছে, যদি সে অ্যাকটিভিটিগুলো করে; সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো মাথায় এটা রাখা যাবে না যে আমি প্রেগন্যান্ট, আমি অসুস্থ। বিষয়টাকে সে যদি এনজয় করে, আমার একটা প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড চলছে, সামেনে এটা টার্মিনেশন হবে। এ বিষয়গুলো প্রথম থেকেই জানতে হবে।
ডা. বেনজীর হক পান্না যুক্ত করেন, আরও কিছু ব্যাপার আছে। যেমন সে কোথায় ডেলিভারিটা করবে, তার ডক্টর সব সময় অ্যাভেইলেবল কি না, ডেলিভারি করার সময় ব্লাড লাগবে কিনা, যদি লাগে কে সেটা দেবে, ফাইন্যান্সিয়াল কিছু বিষয় আছে, সবকিছু প্রথম থেকে মাথায় রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদেরও এ বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখা উচিত।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।