পিরিয়ড অনিয়মিত হলে যেসব ঝুঁকি রয়েছে
অনেক নারীর পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব বা মাসিক অনিয়মিত হয়। ঋতুস্রাব অনিয়মিত হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। মানসিক চাপ, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস), থাইরয়েডে সমস্যা, খাদ্যাভ্যাসে অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ সম্পর্কে জানিয়েছেন ডা. হালিম খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. মুনা তাহসিন।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. হালিম খান বলেন, এটা মেয়েদের ক্ষেত্রে কমন একটি সমস্যা। মেয়েরা আমাদের কাছে যেভাবে আসে, তাদের দেখা যায় যে অনিয়মিত মাসিক; অনিয়মিত মাসিক মানে দুই-তিন-চার-পাঁচ মাস পর পর তার পিরিয়ড হয়। আর এদের অবাঞ্ছিত লোম হয়, ওজন অনেক বেড়ে যায়, বগলের নিচে কালো হয়ে যায়, ঘাড় কালো হয়ে যায়; এই জিনিসগুলো নিয়ে সাধারণত আমাদের কাছে আসে। এই ট্রিটমেন্টটা আমরা কিছু হরমোন পরীক্ষা এবং কিছু আলট্রাসনোর মাধ্যমে বের করি যে তার আসলে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস) আছে, না কি অন্য কোনও কারণে তার ওজনটা বেড়েছে। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ডায়াগনসিস হওয়ার পরে আমরা কিছু হরমোনের চিকিৎসা দিয়ে থাকি, ম্যাটফরমিন-জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকি, কিছু পিল দিয়ে থাকি। লাইফস্টাইল পরিবর্তনের নির্দেশনা দিয়ে থাকি, অনেকটা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মতোই। তবে মনে রাখতে হবে যে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম যাদের আছে, তারা যেন একবার ওষুধ খেয়ে ভালো হয়ে গেলে ছেড়ে না দেয়। লাইফস্টাইল সারা জীবন মেইনটেইন করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে। ওষুধ নিয়মিত সেবন করতে হবে এ জন্য যে যদি আপনি পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমকে এখন গুরুত্ব না দেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, জরায়ুতে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, ইনফারটাইলিটিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সে জন্য আমরা এ জিনিসগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে থাকি।