বন্ধ্যত্ব নির্ণয়ে কী কী টেস্ট করা দরকার
সন্তানের মুখ দেখার চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে। কিন্তু অনেকেই নানান শারীরিক সমস্যার কারণে সন্তান ধারণ করতে পারেন না। বন্ধ্যত্বের সমস্যায় সন্তানহীন থাকেন অনেকে। কিন্তু বর্তমানে এর আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। বন্ধ্যত্ব নির্ণয়ে কী কী টেস্ট করা দরকার, তা আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ও বন্ধ্যত্ব নিয়ে কথা বলেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি বলেন, প্রথমে আমরা তার হিস্ট্রি নিই। বেসিক টেস্টের মধ্যে হাসব্যান্ডের সিমেন অ্যানালাইসিস; এটা লাগছেই। ওয়াইফের ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই তার হিস্ট্রি নিয়ে থাকি যে তার কোন ধরনের টেস্টগুলো লাগবে। বেসিক কিছু হরমোন টেস্ট দেখি। তার মধ্যে অ্যান্টি মুলারিয়ান হরমোন (এএমএইচ), যদি বয়স পঁচিশের ওপরে থাকে অথবা তিনি পিসিওএসে সাফার করছিলেন। তার অন্যান্য হরমোনগুলো, যেমন থাইরয়েড, প্রলাকটিন হরমোনের হিস্ট্রি যদি থাকে, গর্ভধারণের রেশিওটা দেখা হয়, আরেকটা হলো তার গঠনগত ত্রুটি আছে কি না।
ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি বলেন, একটা আলট্রাসনোগ্রাফি, এটা মাসিকের ১২তম দিনে হলে বেশি ভালো হয়, অথবা শুরুর দিকে হলে। ১২তম দিন হলে তার ডিম্বাণু তৈরি হচ্ছে কি না, ওষুধ দিতে হচ্ছে কি না, ওষুধ দেওয়ার পর রেসপন্স কেমন করল, জরায়ুর ভেতরে কোনও জটিলতা আছে কি না, টিউমার আছে কি না, জরায়ুর ভেতরের থিকনেস ঠিক আছে কি না, এগুলো আমরা দেখি। আরেকটা জিনিস দেখি আমরা, তার টিউবে ব্লক আছে কি না। এটা প্রথমেই না, যদি দেখি তার হিস্ট্রিটা সাজেস্টিভ, তাহলে আমরা প্রথমেই দেখছি।
বন্ধ্যত্ব, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কী, লক্ষণ ও প্রতিকার বিশদে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।