বাড়তি ওজন নিয়ে ভাবছেন? জানুন সমাধান
এই সময়ে এসে আমরা অনেক বেশি ভুগছি বাড়তি ওজন নিয়ে। ডাক্তারের কাছে গেলেও তিনি বলছেন, অতিরিক্ত ওজন কমাতে। কিন্তু বাড়তি ওজন কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনবেন?
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনীম। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ওজন বা ওবেসিটি একটি রোগ। এই রোগটাকে আমাদের অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তা না হলে ৮০ শতাংশ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। যেমন—হার্ট ডিজিজ, কিডনি ডিজিজ কিংবা অন্যান্য যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো কিন্তু চলে আসবে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনীম বলেন, আমরা দেখি, অনেকে বিভিন্ন রকম ডায়েট করে থাকে। কিটো ডায়েট বা অন্যান্য ডায়েট আমরা করছি, যেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। চেষ্টা করতে হবে সারা দিনের খাবারটাকে ব্যালান্স রেখে ডায়েটটাকে ঠিক রাখা। খাবারকে যদি আমরা ব্যালান্স করতে না পারি, তাহলে দেখা যাবে ওজন হয়তো ঠিকই কমছে, কিন্তু আপনার শরীরে অন্যান্য জায়গায় ঘাটতি তৈরি হয়েছে বা আপনি অন্যান্য সমস্যা তৈরি করে ফেলেছেন। এ কারণে সারা দিনের খাবারটাকে ব্যালান্স করতে হবে।
ব্যালান্স বা সুষম কথাটার অর্থ হলো, শর্করা আমিষ ভিটামিন মিনারেলস এবং পানি; এ জাতীয় খাবারগুলো আপনাকে সমান্তরালভাবে বা যতটুকু আমাদের রিকমেন্ডেশন থাকে, ততটুকু পরিমাণে খাদ্যগ্রহণ করতে হবে। যেমন—শর্করা আপনাকে ৬০ থেকে ৪০ বা ৪০ থেকে ৬০ পারসেন্ট গ্রহণ করতে হবে, আমিষজাতীয় খাবারটাকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ এবং চর্বিযুক্ত খাবারকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রাখতে হবে। এ খাবারগুলো যখন আমরা খাদ্যতালিকায় ভাগ করে নেব, তখন দেখা যাবে শর্করা—রুটি, ভাত, মুড়ি এগুলো আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ঠিক করে ফেলতে পারব। আমিষযুক্ত যে খাবার আছে, সেটাকেও আমরা সুন্দরভাবে খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে পারব।
এখন প্রশ্ন, খাবার দিয়ে ওজন কীভাবে কমাব? মনে রাখতে হবে যে ক্যালোরি চাহিদার খেলাটাই হচ্ছে মূলত ওজন কমানোর মূল মন্ত্র। আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে যে ওজন ও উচ্চতা কত হয়েছে। সে অনুযায়ী আপনার বিএমআই কত আছে। এখন বিএমআই, ওজন, উচ্চতা এগুলোর ওপর ডিপেন্ড করে আপনি বের করতে পারবেন, আপনার ক্যালোরি চাহিদা পার ডে কত রয়েছে।
বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে করণীয় কী, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।