ব্রণজনিত দাগ ও ক্ষত দূর করার উপায়
অনেকেই ব্রণজনিত দাগ ও ক্ষতের সমস্যায় ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে মুখের ব্রণ ও কালো দাগের চিকিৎসা সম্পর্কে বলেছেন শিওর সেল মেডিকেল বাংলাদেশের ডার্মাটোলজিস্ট ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন।
ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন বলেন, আপনার ত্বকে একসময় হয়তো ব্রণ ছিল, সময়ের সাথে ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু রেখে গেছে দাগ বা ক্ষত। অনেকের ক্ষেত্রে আগের ব্রণের দাগ বা ক্ষত তো রয়েই গেছে; সেইসাথে তৈরি হচ্ছে নতুন ব্রণ। আপনি হয়তো আশঙ্কায় আছেন এই ব্রণগুলো তৈরি করবে নতুন দাগ। এই ব্রণের দাগকে সাধারণত আমরা পোস্ট ইনফ্ল্যামেটরি হাইপার পিগমেন্টেশন এবং ক্ষতকে অ্যাকনি স্কার বলে থাকি।
ডা. তাওহীদা রহমান বলেন, এই দাগ বা ক্ষত আমাদের ভুলের কারণে তৈরি হয়। ব্রণ হলে আমরা জেনেশুনে বা নিজের অজান্তে মুখে হাত দিতে থাকি। ব্রণকে খোঁটাতে থাকি। অনেকেই আছেন ব্রণটাকে চেপে ভাবেন যে পেয়ে গেলেন বুঝি ব্রণ থেকে চিরমুক্তি। ব্রণ তো ভালো হলোই না, আপনার হাতে সংক্রমণ হলো ব্রণে। সেখানে প্রদাহ হচ্ছে, ইরিটেশন হচ্ছে এবং দাগ তৈরি হচ্ছে। অনেকের এলার্জির প্রবলেম থাকে, সে কারণে চুলকায়। যখন ব্রণ হয় এবং এলার্জির অ্যাটাক হয়, তখন তারা চুলকাতে থাকে। এই যে ইরিটেশন, এর ফলেও কিন্তু দাগ হয়।
ব্রণের চিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। কিন্তু অনেকেই ব্রণের চিকিৎসা শুরু করে মাঝপথে থামিয়ে দেয় বা ডক্টরের কাছে ফলোআপে যায় না, চিকিৎসা ছেড়ে দেয়। এর ফলে হয় কি, ব্রণগুলো তো ভালো হয়ই না, সেগুলো তৈরি করে দাগ।
ব্রণজনিত দাগ ও ক্ষত কেন হয় এবং তা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।