মাইগ্রেন একবার হলে সারা জীবন থাকে?
মাথাব্যথায় ভোগেননি, এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। অনেকে আবার মাথাব্যথাকে তেমন গুরুত্ব দেন না। আবার অনেকে মাথাব্যথার সমস্যা নিয়ে অধিক চিন্তিত। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে মাথাব্যথা ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে মাথাব্যথা ও এর প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হসপিটালের নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইমরান সরকার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
অনেকের ধারণা, একবার হলে সারা জীবন মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে যায়। এই বিষয়টি কি সত্য? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. ইমরান সরকার বলেন, না জানার কারণে অনেক ভুল হয়ে যায় আমাদের। এমনও রোগী আছে, আমরা ওষুধ দিয়ে দিই, কিন্তু খেয়াল করে না অথবা আমরাও অনেক সময় ভুলে যায়। এ জন্য রোগীরা হয় ওষুধ ছেড়ে দেয়, অথবা সে ওষুধটা এমন সময় খেতে থাকল, সারা বছর খাচ্ছে। দুইটাই কিন্তু খারাপ। জানতে হবে, অ্যাকচুয়ালি কত দিন। আমরা বলি অ্যাকিউট অ্যাটাকের সময় যে ওষুধটা আমরা দিই, পেইনকিলার যেটা দিই, সেটা প্যারাসিটামল হোক বা ন্যাপ্রক্সেন; অ্যানেসাইড বলি আমরা। এ ওষুধগুলো ১০ থেকে ১৫ দিনের বেশি দেওয়া যাবে না অ্যাকিউট অ্যাটাকে। এরপর আপনাকে এটি থামিয়ে দিতে হবে। এবং একই সময় আমরা প্রিভেন্টার ওষুধ দিই। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রিভেন্টার ওষুধ তিন থেকে ছয় মাস, সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে। সাধারণত দেখা যায়, বেশির ভাগ মাইগ্রেন রোগীর তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে তার পেইনের অ্যাটাক ক্যারেক্টার কমে আসে এবং মাইগ্রেনটা একটা লেভেলে স্ট্যাবল হয়ে যায়।
ডা. ইমরান সরকার আরও বলেন, মাইগ্রেন সাধারণত তরুণ মেয়েদের হয়ে থাকে। পুরুষেরও হতে পারে। এটা লম্বা সময়... এটা কিউরেবল রোগ না। একটা বয়স পর্যন্ত আমরা দেখি, মেয়েদের ৪০-৪৫ বা মেনোপজ বয়স পর্যন্ত বেশি থাকে। এর পেছনে হরমোনাল কারণও থাকতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। যখন মাসিক বন্ধ হয়ে যায়, ওই বয়সের পরে মাইগ্রেন অ্যাটাক কমে আসে। সে জন্য তাদের ওষুধ খেতে হবে। যদি অ্যাকিউট অ্যাটাক হয়, নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হবে। তাদের ফলোআপে থাকবে। তিন থেকে ছয় মাস টানা খেলে অনেকাংশে চলে যায়।
মাথাব্যথা ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।