যেভাবে কমানো যায় বয়সের গতি
সুস্থ থাকার জন্য প্রাণশক্তিতে ভরপুর থাকা চাই। সুস্থ দেহ, সুস্থ মন। দেহ ও মনের সুস্থতা জরুরি। শরীর অসুস্থ থাকলে মনও অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই সুস্থ থাকার জন্য আমাদের জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তন জরুরি। সেই সঙ্গে জরুরি সুস্থ চিন্তা করা। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, অ্যান্টি-এজিং বা বয়সের গতি কীভাবে কমানো যায়।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে সুস্থতা ও ফিট থাকার রহস্য নিয়ে কথা বলেছেন ডা. ঝুমু খানস লেজার মেডিকেলের কনসালটেন্ট ডা. ঝুমু খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
অ্যান্টি-এজিং বা বয়সের গতি অনেকটা স্লো ডাউন করা সম্ভব। এটার জন্য আসলে কী কী ট্রিটমেন্ট প্রসিডিউর রয়েছে বা কী কী বিষয় মেনে চললে এজিংকে কিছুটা হলেও রোধ করা যায়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. ঝুমু খান বলেন, অ্যান্টি-এজিং হচ্ছে এজিংয়ের বিপরীতমুখি একটা ফোর্স। আমার এজিং যেমন হচ্ছে, আমার বিপরীতমুখি ফোর্স যত শক্ত হবে, শক্তিশালী হবে, আমার এজিং স্লো হয়ে যাবে। প্রথম জিনিস হচ্ছে ডিসিপ্লিন লাইফস্টাইল। দেখা গেছে যাঁরা খুব ডিসিপ্লিনড, আরলি টু বেড আরলি টু রাইস, এই অভ্যাস করেন; সুষম খাবারে অভ্যস্ত, সময়মতো খান, রেগুলার এক্সারসাইজ করেন, মানসিকভাবে খুব শান্তিতে থাকেন; এই ডিসিপ্লিনগুলো যত ভালো থাকবে, তাঁর এজিং স্লো হয়ে যাবে। এরপর আমার বয়স স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, ৩০ হচ্ছে, হালকা লাইন আসছে, এখন যে রেগুলার ময়েশ্চারাইজ করে, একটু যত্ন নেয়, তার কিন্তু স্কিন ভালো থাকে।
ডা. ঝুমু খান বলেন, যাঁর ড্রাই স্কিন, সেনসিটিভ স্কিন, তার এজিংটা একটু ফাস্ট হচ্ছে। যেমন স্ট্রেস। যে সবকিছু নিয়ে সারাক্ষণ দুশ্চিন্তা করে, তার এজিং ফাস্ট হয়ে যাচ্ছে। তার মানে এমন কিছু একটা করা উচিত, যাতে এজিংটা স্লো হয়ে যায়। তো আমরা তখন অনেক অ্যাসথেটিক ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি লেজার করি, রেডিওফ্রিকোয়েন্সি করি, আমরা বোটক্স করি, ফিলার করি। এগুলো দিয়ে স্কিনের কোয়ালিটিটা খুব ইমপ্রুভ হয়, লাইনস অনেক কমে যায় এবং চেহারা সুন্দর দেখায়। এ ট্রিটমেন্টগুলোর খুব ভালো দিক আছে। এটা প্রিভেনশনও করে। তবে সৌন্দর্য কিন্তু শুধু চেহারানির্ভর নয়। স্বাস্থ্যনির্ভর। শারীরিকভাবে ফিট থাকা খুব জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণ, মাসলকে ভালো রাখা।
ডা. ঝুমু খান আরও বলেন, আমাদের দেশে একটা টেন্ডেন্সি হচ্ছে, যখনই একটু ওজন বাড়ে, সবাই ক্রাশ ডায়েটে চলে যায়। একদম খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে আমি ওজন কমিয়ে ফেলব। হয়তো ওজন কমল, কিন্তু দেখা গেল যে চেহারা খারাপ হয়ে গেছে, বুড়িয়ে যাচ্ছে, চুল পড়া শুরু হয়ে গেল, তার শারীরিকভাবে একটা উইকনেস শুরু হয়ে গেল এবং মাইক্রো-নিউট্রেন্ট যে ডেফিসিয়েন্সি হয়, সেটাতে অনেক কিছু কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে। যদি এটার নিয়মিত চর্চা থাকে, সে রেগুলার এক্সারসাইজ করল, একটা সুনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইল ফলো করল, তাহলে কিন্তু অনেক কিছু ইমপ্রুভ করে। একজন মানুষ যদি এটা কম বয়স থেকে অভ্যাস করে, তাহলে তার হাঁটুর সমস্যা, মাসলের পেইন, পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, কোমরব্যথা, এগুলো কিন্তু সে প্রিভেন্টও করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এগুলো কিন্তু প্রিভেন্টিভ হিসেবে কাজ করে। তো সব সময় চেষ্টা করা উচিত যে মাসল, বোনস ও ফ্যাট, সবগুলোকে একটা নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসা, একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসা।
সুস্থ ও ফিট থাকার রহস্য সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।