রক্তে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে যা করবেন
অনেকের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অসচেতনতা, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন পদ্ধতি এর জন্য অনেকটাই দায়ী। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জানব, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে খাদ্যাভ্যাস কতটা জরুরি।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে বলেছেন প্রাভা হেলথের পুষ্টিবিদ নূর-ই-জান্নাত ফাতেমা।
পুষ্টিবিদ নূর-ই-জান্নাত ফাতেমা বলেন, অনেকে বলে থাকেন, আমার রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। ইউরিক অ্যাসিড বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায়, রক্তে যে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়, সেটাকে আমরা হাইপার ইউরোসেমিয়া বলে থাকি। হাইপার ইউরোসেমিয়া হচ্ছে যদি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়, গিঁটে গিঁটে ব্যথা, পা জ্বালাপোড়া করে এবং বিভিন্ন সময় গা জ্বালাপোড়া করে। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ যখন বডিতে বেড়ে যায়, তখন এটা ক্রিস্টাল আকারে বডিতে জমে যায় এবং গিঁটে গিঁটে ব্যথা হয়।
নূর-ই-জান্নাত ফাতেমা বলেন, ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সঠিক একটি খাদ্য পরিকল্পনা দরকার। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে আমরা পেশেন্টকে পিউরিন যুক্ত খাবারের পরামর্শ দিই। বিশেষ করে পিউরিন যুক্ত খাবার থেকে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। ইউরিক অ্যাসিড একটি টক্সিক উপাদান। এটা মূত্রের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কাজেই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে কিডনি রোগের কারণ হয়ে থাকে। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে যে কাজটা করতে হবে, সেটা হলো আমাদের পিউরিন যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
এ পুষ্টিবিদ আরও বলেন, পিউরিন যুক্ত খাবারের মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের অরগ্যান মিট, যেমন গরু, ছাগল, পাখি, কবুতর, হাঁসের মাংস ইত্যাদি। এ ছাড়া কলিজা, মগজ, গিলা, লিভার পরিহার করতে হবে। সবজির মধ্যে লাল জাতীয় সবজি, বিশেষ করে গাজর, টমেটো, শসা খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। পিচ্ছিল জাতীয় সবজি, যেমন ঢেঁড়শ, পুঁইশাক, কচুর মুখি, লতি ইত্যাদি আমরা খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে থাকি।
পুষ্টিবিদ নূর-ই-জান্নাত ফাতেমা যুক্ত করেন, ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে বিচি ও ডাল জাতীয় খাবারও বাদ দেওয়া হয়। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে প্রচুর পানি খেতে হবে। কারণ, মূত্রের মাধ্যমে রক্তের এই টক্সিসিটিটা বের হয়ে যায়। যদি কেউ অ্যাপল সিডার ভিনেগার পানির সাথে ডায়লুট করে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে খায়, তাহলে ইউরিক অ্যাসিডের প্রকোপ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।