রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়লে যেসব ঝুঁকি রয়েছে
ইদানীং দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বয়সে, বিশেষ করে যাঁরা ৪০ বছর পার করেছেন বা যাঁদের ডায়াবেটিস ছিল বা যাঁদের হাই ব্লাড প্রেশার আছে এবং এগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে; এসব নানান কারণে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়লে কী ঝুঁকি রয়েছে এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসই বা কী, তা আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনীম।
পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনীম বলেন, রক্তে যখন ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি হয়ে যায়, তখন আমাদের অবশ্যই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা উচিত। অনেকেই ভুল করে থাকেন, ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে প্রথম দিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। না দেওয়ার কারণে এই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাটা বেড়ে দেখা যায়, যখন অনেক বেশি হয়ে যায়, তখন তাঁর কিডনির কার্যক্ষমতা অনেক কমে যায় এবং কিডনির প্রধান সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। এ কারণে আমাদের সবার আগে চেষ্টা করতে হবে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অবশ্যই ১.২-এর নিচে রাখতে। ১.২ যখন ক্রস করে যাচ্ছে, তখনই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন ক্রিয়েটিনিন আর বেড়ে না যায়।
রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলে কী ধরনের খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করতে হবে? পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনীম বলেন, এই সময় আমাদের পটাসিয়ামযুক্ত খাবার, ফসফরাসযুক্ত খাবার এবং সোডিয়ামযুক্ত খাবার পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে বলা হয়ে থাকে। যে ধরনের খাবারে পটাসিয়ামের মাত্রা কম আছে, সেগুলোকে গ্রহণ করতে বলা হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা প্রতিদিন যে খাবার গ্রহণ করছি, সে খাবারের মধ্যে পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি চলে যাচ্ছে। যে কারণে আমরা নিজেরাও বুঝতে পারছি না, এটা দীর্ঘ সময় পরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা আরও বেশি হয়ে যাচ্ছে।
এই যে আমরা যে কোনও খাবারে আলু দিচ্ছি, খাচ্ছি; আলুর মধ্যে অনেক পটাসিয়াম থাকে। এটার দিকে অনেকে নজর দেন না। অধিকাংশ মানুষ মনে করে থাকে, ডাল বা ডালযুক্ত খাবার বন্ধ করে দিলে বা প্রোটিন গ্রহণ কম করলে এটা ঠিক হয়ে যাবে। এটা তো অবশ্যই মেইনটেইন করতে হবে, পাশাপাশি কিন্তু আরও যে খাবার আছে, সেগুলো নিষেধ করে দিতে হবে বা আমাদের এগুলোকে মেইনটেইন করতে হবে। যেমন আলুর নামটা বলেছি। এ ছাড়া শিম, বরবটি, পেঁপে, মূলা, গাজর, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, কলিজা, গরুর মাংস, যে কোনও ডাল বা ডালের তৈরি যে কোনও খাবার—যাঁদের রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ১.২-এর ওপরে চলে গেছে, তাঁদের অবশ্যই এ খাবারগুলো বন্ধ করতে হবে।
রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলে কোন ফল খেতে পারবেন আর কোন ফল খেতে পারবেন না, তা জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।